Published : 24 Dec 2024, 08:48 PM
নরসিংদী সদরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শ্রমিক দলের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।
ঘটনার ছয় দিন পর মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম।
নিহত আলম মিয়া (৫৫) সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি পাঁচদোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে আলমের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়ালে এলাকাবাসী ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে শ্রমিক নেতা হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।
এতে মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ, বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
ওসি নজরুল ইসলাম জানান, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি লাল মিয়া মেম্বার ও যুবদল নেতা মোসাদ্দেকের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে গুরুতর আলম মিয়াকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ছয় দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান।
ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনা পরদিন ১৯ ডিসেম্বর লাল মিয়া মেম্বারের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে মোসাদ্দেককে এক নম্বর আসামি করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আহত একজন মারা যাওয়ায় এটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।