Published : 23 Jan 2024, 05:30 PM
চন্দ্রপৃষ্ঠে পাঠানো মুন ল্যান্ডার স্লিমে কী ধরনের গোলযোগ ঘটেছে, তা নিশ্চিত করেছে জাপান। এ ছাড়া, মহাকাশযানটি পুনরুদ্ধারের আশাও ব্যক্ত করেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশটি।
‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ বা ‘স্লিম’ নামে পরিচিত এ নভোযানটি চাঁদে পৌঁছেছে গেল শুক্রবার, যার ফলে বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদের পৃষ্ঠে সফল ‘সফট ল্যান্ডিংয়ের’ কৃতিত্ব অর্জন করে জাপান।
তবে, অবতরণের পরপরই ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা। এমনকি মিশনের মাঝপথে কোনো তথ্য প্রকাশ না করেই এর লাইভস্ট্রিম বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি।
পরবর্তীতে জাক্সা ঘোষণা দেয়, স্লিমে কিছুটা যান্ত্রিক গোলযোগের মুখে পড়েছে। আর এর বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, ল্যান্ডারটি চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করলেও এটি সম্ভবত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে না।
তবে এখন সংস্থাটি বলছে, অবতরণের পর প্রায় তিন ঘণ্টার জন্য ল্যান্ডারটি বন্ধ রেখেছিল তারা। আর ল্যান্ডারটি চাঁদে অবতরণের তথ্য পাঠানোর পরপরই তারা এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল।
জাক্সা’র তথ্য অনুসারে, স্লিম ল্যান্ডারটি সম্ভবত ঠিক জায়গায় অবতরণ করতে পারেনি। ফলে, এর সোলার প্যানেলগুলো সূর্য থেকে শক্তি আহরণে ব্যর্থ হয়েছে।
সংস্থাটি আশা করছে, স্লিমের সোলার প্যানেলগুলো সঠিক উপায়ে সূর্য থেকে শক্তি সংগ্রহ করতে পারলে ল্যান্ডারের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।
“আমাদের পরিমাপক ব্যবস্থার তথ্য বলছে, স্লিমের সৌর কোষগুলো পশ্চিমমূখী হয়ে আছে। তাই চাঁদের পৃষ্ঠে যদি পশ্চিম দিক থেকে সূর্যের আলো আসে, তবে এটি পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা নিজেরাও এর প্রস্তুতি নিচ্ছি।” --এক বিবৃতিতে বলেছে জাক্সা।
“স্লিমকে কেবল সৌর কোষে সংগ্রহ করা বিদ্যুৎ শক্তির মাধ্যমে চালানো যায়।”
সংস্থাটি আরও বলেছে, চাঁদে অবতরণের পর ল্যান্ডারটি ডিঅ্যাক্টিভেট করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এখনও এর ব্যাটারি সক্রিয় আছে। তাই এটি পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।