Published : 29 Oct 2024, 03:06 PM
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে লেখা গল্পের তুলনায় শিক্ষার্থীদের ক্রিয়েটিভ রাইটিং ক্লাসে লেখা গল্পের গ্রহণযোগ্যতা বেশি, এমনই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
এ গবেষণায় ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে’র একজন গবেষক বিভিন্ন জনপ্রিয় জেনারেটিভ এআই প্ল্যাটফর্মের লেখা গল্পের সঙ্গে হাজারের বেশি মানুষের লেখা গল্প তুলনা করে দেখেছেন। এতে উঠে আসে, এআইয়ের তুলনায় মানুষের লেখা বেশি সমৃদ্ধ ও এতে নানা ধরনের দৃষ্টিভঙ্গিও উঠে আসে।
অন্যদিকে, ওই একই গল্পের সঙ্গে তুলনা করার মতো সংস্করণ তৈরি করা এআই সিস্টেমগুলো নিজস্ব লেখায় স্রেফ কিছু পরিবর্তন এনেছে, যেখানে গতানুগতিক প্রেক্ষাপটই বেশি।
“এটা যেন একটা রূপকের প্যারোডি হয়ে গিয়েছিল, যেখানে হিউমার যোগ করার চেষ্টা দেখা গেছে,” ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন ইউসি বার্কলে’র ‘স্কুল অফ ইনফর্মেশন’ ও ‘ডিপার্টমেন্ট অফ হিস্ট্রি’ বিভাগের গবেষক নিনা বেজুস।
“এটা পরিষ্কার যে, এইসব লেখা সমাজ বা সংস্কৃতি থেকে পুরো বিচ্ছিন্ন। এমনকি এতে স্থানীয় কোনো এলাকা বা মানুষের সংস্কৃতির কোনো সুনির্দিষ্ট উল্লেখও থাকে না। অন্যদিকে, মানুষের লেখা গল্পগুলো বৈচিত্র্যময় হয়ে থাকে। আর সত্যি বললে, সেগুলো পড়ে অনেক আনন্দও পাওয়া যায়।”
এজন্য জেনারেটিভ এআই টুল থেকে তৈরি ৮০টি গল্পের বিপরীতে মানুষের লেখা আড়াইশটি প্রতিক্রিয়া তুলনা করেছেন বেজুস, যেখানে তিনি প্রতিটি প্রতিক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখেছেন।
মানুষ তার সংস্কৃতি, বর্ণ, জাতিসত্ত্বা ও লিঙ্গের মতো বিষয়াদি নিয়ে কীভাবে আলোচনা করে, এতে তিনি সে বিষয়টি মূল্যায়ন করে দেখেছেন।
বুধবার তার গবেষণার বিভিন্ন ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘হিউম্যানিটিস অ্যান্ড সোশাল সায়েন্সেস কমিউনিকেশন্স’-এ।
এ গবেষণায় যারা গল্প লিখেছেন, তারা অ্যামাজনের মার্কেটপ্লেস ‘মেকানিকাল টার্ক’-এর কর্মী। আর এআইনির্ভর গল্প তৈরি করেছে ওপেনএআইয়ের জিপিটি ৪ ও জিপিটি ৩.৫। গল্পগুলো অ্যামাজনের কর্মীরা লিখেছিলেন ২০১৯ সালের জুনে। আর ওপেনএআইয়ের গল্পগুলো তৈরি হয়েছে গত বছরের মার্চে।
এর ৩৩০টি প্রতিক্রিয়াই একই ধরনের প্রম্পট অর্থাৎ পিগম্যালিয়ন রূপকথার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এ দুই হাজার বছর পুরোনো গল্পে, রোমান কবি ওভিডের ভাস্কর্য তৈরি করে এর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন শিল্পী নিজেই।