Published : 05 Jul 2024, 03:18 PM
যারা ক্রিপ্টোমুদ্রার মালিক, তাদের ব্যক্তিত্বে ডার্ক টেট্রাড বা নেতিবাচক দিক থাকার ঝুঁকি বেশি, এমনই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
ডার্ক টেট্রাড বা ডিটি’র মানে হচ্ছে যাদের চরিত্রে নার্সিসিজম, মাকিয়াভ্যালিজম, সািইকোপ্যাথি ও স্যাডিজমের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
গবেষণা অনুসারে, ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগকারী ব্যক্তিরা বেশিরভাগক্ষেত্রেই পুরুষ, যারা মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ভূয়া সূত্রের ওপর নির্ভর করে থাকেন। এমনকি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রতত্ত্বে বিশ্বাস করে নিজেদেরকে ভুক্তভোগীও ভেবে থাকেন তারা।
নতুন এ গবেষণায় প্রায় দুই হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারা আগে কখনও ক্রিপ্টোমুদ্রা কিনেছেন কি না। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই বলেছেন, তাদের কাছে একসময় ক্রিপ্টোমুদ্রা ছিল।
পরবর্তীতে, গবেষকরা তাদের জনসংখ্যা সংশ্লিষ্ট তথ্য বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার পাশাপাশি বিভিন্ন এমন প্রশ্নও করেন, যা থেকে তাদের রাজনৈতিক, মানসিক ও সামাজিক মতাদর্শ প্রকাশ পায়।
ওই তথ্য দিয়ে গবেষকরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন, ঠিক কোন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে সেরা অনুমান মেলে, কেউ ক্রিপ্টোমুদ্রা কিনেছেন কি না।
এর ফলাফলে উঠে আসে, যাদের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ‘ডার্ক টেট্রাড’ নামের তত্ত্বটি সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাদের ক্রিপ্টোমুদ্রা কেনার প্রবণতা বেশি। আর এ তত্ত্বটি মূলত আত্মমুগ্ধতা, প্রতারণা, মানসিক অস্থিরতা এবং নিপিড়ণের মতো নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে গঠিত।
গবেষকরা আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেছেন। সেগুলো হল, পুরুষত্ব, তর্ক করা, উপার্জন বাড়াতে চাওয়া ও ভুক্তভোগীর মতো অনুভূতি পাওয়ার প্রবণতা।
এর মধ্যে কিছু কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে শক্তিশালী যোগসূত্র পেয়েছেন গবেষকরা। এর থেকে ইঙ্গিত মেলে, ঠিক কী কারণে মানুষ ক্রিপ্টোমুদ্রার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে, তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
‘দ্য পলিটিকাল, সাইকোলজিকাল অ্যান্ড সোশাল কোরিলেটস অফ ক্রিপ্টোকারেন্সি ওনারশিপ’ শীর্ষক নতুন এ গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘প্লস ওয়ান’-এ।