Published : 28 Dec 2023, 07:53 PM
নতুন মানবাকৃতির রোবট ‘ভ্যালকিরি’র প্রথম ঝলক দেখিয়েছে নাসা। আশা করা হচ্ছে, মহাকাশ খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে এটি।
১৩৬ কেজি ভরের রোবটটির উচ্চতা ছয় ফুট দুই ইঞ্চি। এর নামকরণ হয়েছে নর্স রূপকথার কাল্পনিক নারী চরিত্র ভ্যালকিরি’র নামে। সম্প্রতি টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টন শহরে অবস্থিত জনসন স্পেস সেন্টারে এর প্রাথমিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
নাসা বলছে, ‘প্রতিকূল বা ক্ষতিকর পরিবেশ’ যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ জায়গাগুলোয় কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে নকশা করা হয়েছে রোবটটি।
তবে, এ ধরনের রোবট একদিন মহাকাশেও কাজে লাগানোর সম্ভাবনা আছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
সাধারণত মানবাকৃতির রোবটে মানুষের মতো শারীরিক অঙ্গ দেখা যায়, যেখানে একটি ধড়, একটি মাথা, দুটি বাহু ও দুটি পা থাকে। প্রকৌশলীরা বিশ্বাস করেন, সঠিক সফটওয়্যার একদিন এই ধরনের মানবাকৃতির রোবট মানুষের মতোই আচরণ করতে শিখবে। আর মানুষের মতো একই ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারবে।
নাসার রোবটিক দল ‘ডেক্সটারাস’-এর প্রধান শন আজিমি বলেন, সৌরজগৎ পরিষ্কার করা বা মহাকাশযানের বাইরের কোনো যান্ত্রিক গোলযোগ সামলানোর মতো বিপজ্জনক কাজে এ ধরনের রোবট ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে। এর ফলে, নভোচারীরাও মহাকাশ অনুসন্ধানে আরও বেশি মনযোগ দিতে পারবেন।
“আমরা নভোচারীদের জায়গা কেড়ে নিতে চাই না। আমরা শুধু অপ্রয়োজনীয় ও বিপজ্জনক কাজগুলো রোবটকে দিয়ে করাতে চাই যাতে তারা আরও উচ্চ পর্যায়ের কাজে মনযোগ দিতে পারেন।” --বলেন আজমি।
স্থলজ কাজের উদ্দেশ্যে তৈরি মানবাকৃতির রোবট কীভাবে ভবিষ্যতে মহাকাশ সংশ্লিষ্ট রোবট তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে, সে সম্পর্কে জানতে টেক্সাস ভিত্তিক ‘অ্যাপট্রনিক’-এর মতো বেশ কয়েকটি রোবটিক কোম্পানির সঙ্গে জোট বাঁধছে নাসা।
এরইমধ্যে ‘অ্যাপোলো’ নামে এক মানবাকৃতির রোবট বানাচ্ছে অ্যাপট্রনিক। এর লক্ষ্য, রোবটকে দিয়ে কারখানায় প্যাকেজ স্থানান্তর, প্যালেট বসানো বা সাপ্লাই চেইনভিত্তিক স্থলজ কাজগুলো করানো।
২০২৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে মানবাকৃতির রোবট সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে অ্যাপট্রনিক।
কোম্পানির প্রযুক্তি প্রধান নিক পেইন বলেছেন, মানুষের চেয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে অ্যাপোলো, বিশেষ করে সহনশীলতার বিষয়টিতে।
“আমাদের লক্ষ্য, সিস্টেমটি যেন দৈনিক ২২ ঘণ্টা অনলাইনে থাকে।” --বলেন পেইন।
“এতে ব্যাটারি বদলানোর সুবিধা থাকায় একে দিয়ে একটানা চার ঘণ্টা কাজ করানো সম্ভব। পরবর্তীতে এর ব্যাটারি পাল্টে একইভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।”
অ্যাপট্রনিকের সিইও জেফ কার্ডেনাস বলেন, বিভিন্ন নতুন সফটওয়্যার বিকাশ অ্যাপোলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়ায় আমাদের লক্ষ্য আকাশচুম্বী।