Published : 29 Aug 2023, 06:36 PM
ইলন মাস্ক মালিকানা নেওয়ার পর থেকে বর্তমানের এক্স বা সাবেক টুইটারের বিরুদ্ধে মোট দুই হাজার দুইশোটি সালিশী মামলা করেছে প্রাক্তন কর্মীরা, যেগুলোর কেবল ফি হতে পারে ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার।
ডেলাওয়্যার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে সোমবার ক্রিস উডফিল্ড নামের এক ব্যক্তির দায়ের করা নতুন একটি মামলায় এ সংশ্লিষ্ট তথ্য সামনে এসেছে।
টুইটারের সিয়াটল অফিসে কর্মরত সাবেক জ্যেষ্ঠ নেটওয়ার্ক প্রকৌশলি উডফিল্ড বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে অর্থ দেয়নি কোম্পানিটি। সে সময় তার কাছে নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকার ফলে তাকে অলাভজনক মধ্যস্থতাকারী সংস্থা জেএএমএসের দ্বারস্থ হতে হয়।
সংস্থাটির ওয়েবসাইট বলছে, “যেখানে দু পক্ষের বিবাদ বিদ্যমান সেসব মামলার ফি দুই হাজার ডলার” এবং “নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো চুক্তি বা অঙ্গীকারনামা সংক্রান্ত বিবাদ মীমাংসার ক্ষেত্রে কর্মীদের দিতে হবে চারশো ডলার।”
নূন্যতম ফি সবাইকেই দিতে হবে এবং মোট দুই হাজার দুইশো সালিসী মামলা হিসাব করলে তা দাঁড়াবে ৩৫ লাখ ডলার এবং এর সঙ্গে অন্যান্য ফিও যোগ হতে পারে, বলেছে জেএএমএস।
এক্স-এর আইনজীবি এর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছেন, তারা যেহেতু কর্মীদের কোনো সালিশরফার আশ্বাস দেয়নি, তাই নিবন্ধন ফি’র বেশিরভাগ এক্স কে বহন করতে হবে, এমনটা ভাবার সুযোগ নেই।
এর মধ্যে উডল্যান্ড এবং অন্যান্যরা সালিশ থেকে বের হয়ে মামলাগুলোকে বিচারের আওতায় নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, বলেছে সিএনবিসি।
বড় কর্পোরেশনের অনেকগুলোয় যোগদানের আগে কর্মীদের সালিশী অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। এর ফলে, কোনো আদালতে ওই কর্মী বক্তব্য দিলে তা যদি প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা থাকে, তবে কোনো বিচারকের কাছ থেকে আগে ছাড়পত্র নিতে হয়।
সমালোচকরা সালিসী চুক্তিকে এক ধরনের গোপন অস্ত্র হিসাবে চিহ্নিত করেন। কারণ এর ফলে কোনো কর্মীর সঙ্গে কোম্পানি কেমন আচরণ করে এবং এ ধরনের মামলায় আগে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো তা জানা সম্ভব হয় না।
আর সালিশকে দেখা হয় বিবাদ মেটানোর ঝামেলাহীন উপায় হিসাবে, যার ফলে হেরে গেলেও কর্মীদের আইনি ব্যয়ের বোঝা বহন করতে হয় না।
নর্দার্ন ক্যারোলাইনা ডিস্ট্রিক্টে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে করা আরও একটি মামলায় বলা হয়, মাস্কের অধীনে থাকা প্রাক্তন কর্মীদের ৮৯১টি সালিশী মামলায় কালক্ষেপণ করেছে কোম্পানিটি, যার ফলে তারা মামলার ফি দিতে ব্যর্থ হয়ে অর্থের বিনিময়ে বিবাদের আপস করতে বাধ্য হয়েছে।