Published : 03 Jun 2025, 08:10 PM
লেখালেখি, ছবি তৈরি, ভিডিও সম্পাদনা বা ভয়েসওভার এখন সবই করা যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুল ব্যবহার করে। সময় বাঁচানো, কম খরচে মানসম্পন্ন কাজ করার সুযোগ থাকলেও এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। না হলে হতে পারে তথ্য বিভ্রাট, কপিরাইট সমস্যা এমনকি আইনি জটিলতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই এখনো ‘নির্ভুল’ নয় তাই কনটেন্ট তৈরি করতে গিয়ে অন্ধভাবে তার ওপর নির্ভর করলেই বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে টেকটার্গেট ডটকম। চলুন মিলিয়ে নেই পরামর্শগুলো-
১. তথ্য যাচাই করুন
চ্যাটজিপিটি বা অন্য জেনারেটিভ এআই মডেল অনেক সময় বিশ্বাসযোগ্যভাবে ভুল তথ্য দিতে পারে যাকে বলা হয় “হ্যালুসিনেশন”। তাই যেকোনো তথ্য বা পরিসংখ্যান ব্যবহার করার আগে ক্রসচেক করে নেওয়া এক নম্বর জরুরী কাজ।
২. ছবি ও ভিডিওর সোর্স ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার রাখুন
এআই দিয়ে তৈরি ছবি বা ভিডিওতে আসল-নকলের সীমা অনেকটাই ঘোলা। ফটোজেন, মিডজার্নি, ডালি-এর মতো টুল দিয়ে অনায়াসে বানানো যায় বাস্তবের মতো চিত্র বা মুখ। এমন কনটেন্ট ব্যবহার করলে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে যে এটি এআই জেনারেটেড। না হলে দর্শক বিভ্রান্ত হতে পারে।
৩. কপিরাইট ও লাইসেন্স সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি
অনেক এআই মডেল প্রশিক্ষিত হয়েছে বিভিন্ন কপিরাইটযুক্ত উপকরণ থেকে। তাই কখনো কখনো সৃষ্ট কনটেন্টও মূল নির্মাতার কপিরাইট লঙ্ঘন করতে পারে। ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করার আগে জানতে হবে, আপনি যেটি তৈরি করছেন, সেটি আসলেই ব্যবহারযোগ্য কিনা।
৪. ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি রক্ষা করতে হবে
ভয়েস ক্লোনিং বা মুখ নকল করার মতো এআই টুল এখন সহজেই মেলে। কারও অনুমতি ছাড়া এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করলে তা আইনে দৃষ্টিতে অপরাধ হতে পারে। বিশেষ করে সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যম কনটেন্টে এসবের ব্যবহার আরও সংবেদনশীল।
৫. নীতিনৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা
এআই জেনারেটেড কনটেন্টের লেখক বা নির্মাতা কে এই প্রশ্ন ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ‘কে দায় নেবে’ তা স্পষ্ট না হলে পাঠক বা দর্শকের প্রতি দায়বদ্ধতা নষ্ট হয়। যে কোনো কনটেন্টে এআই সহযোগী হলেও, চূড়ান্ত দায়িত্ব থাকবে মানুষের উপরই।
কী করবেন?
সবসময় যাচাইযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য নিশ্চিত করুন। এআই তৈরি ছবি/ভিডিও হলে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল তথ্যের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। দায়িত্বশীল কনটেন্ট নির্মাণে নিজস্ব নীতিমালা অনুসরণ করুন
‘এআই যেন আমাদের সহকারী হয়, প্রতিস্থাপন নয়’-এই দৃষ্টিভঙ্গিই হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ পথ।