Published : 30 Jun 2023, 04:30 PM
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় নানা বিষয়েই খোলা চিঠি এসেছে নানা মতের পেশাজীবীদের কাছ থেকে। এর মধ্যে রয়েছে শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার থেকে শুরু করে পেন্টাগনের শত কোটি ডলারের কাজ পাওয়ার মতো বিষয়। তবে, সম্ভবত খোলা চিঠির বিষয়ের প্রশ্নে বাকি সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে এআই।
এরই মধ্যে ইউরোপের প্রস্তাবিত এআই আইন নিয়ে এল সর্বশেষ চিঠি।
ফরাসী গাড়ি নির্মাতা রেনল্ট থেকে সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট মেটা পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানির ১৬০ জন নির্বাহীর স্বাক্ষর করা ওই চিঠির বক্তব্য- প্রস্তাবিত এআই আইন পাশ করলে ইউরোপের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ও প্রযুক্তির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।
এ মাসেই ইইউ আইনপ্রণেতারা একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছেন যেখানে বলা আছে, চ্যাটজিপিটির মতো সিস্টেমগুলিকে এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি কনটেন্ট প্রকাশ করতে হবে, প্রচলিত ছবি থেকে তথাকথিত ডিপ ফেইক ছবি আলাদা করতে সহায়তা করতে হবে এবং অবৈধ কনটেন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
উন্মুক্ত হওয়ার পরপরই ঝড় তুলেছে চ্যাটজিপিটি। স্বাভাবিকভাবেই, এই অ্যাপ নিয়েই বেশ কয়েকটি খোলা চিঠি এসেছে। এর মধ্যে ‘এআই নিয়ন্ত্রণ’ এবং ‘এআইয়ের ফলে সভ্যতা বিলুপ্তির ঝুঁকি’ এড়ানোর আহ্বান ছিল ওইসব চিঠিতে।
সেসব চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন ‘এআই গডফাদার’ বলে পরিচিত তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে দুজন- জিওফ্রে হিন্টন এবং ইয়োশুয়া বেনজিও, ইলন মাস্ক এবং ওপেনএআই সিইও স্যাম আল্টম্যান।
শুক্রবার প্রকাশ করা সর্বশেষ খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তৃতীয় ‘এআই গডফাদার’ ইয়ান লেকুন, যিনি এখন মেটায় কাজ করছেন, স্প্যানিশ টেলিকম সংস্থা সেলনেক্স, ফরাসি সফটওয়্যার কোম্পানি মিরাকল এবং জার্মান বিনিয়োগ ব্যাংক বেরেনবার্গের মতো বিভিন্ন কোম্পানির নির্বাহীরা।
রেনল্ট এবং মেটাসহ চিঠিতে স্বাক্ষর করা নির্বাহীদের কোম্পানিগুলো এ চিঠি নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
তবে, চিঠির মূল বক্তব্য হচ্ছে, প্রস্তাবিত ইইউ নীতিমালার অধীনে জেনারেটিভ এআইয়ের মতো প্রযুক্তির পেছনে কমপ্লায়েন্সের খরচ এবং এগুলোর নির্মাতা কোম্পানির জন্য দায়বদ্ধতার ঝুঁকি অস্বাভাবিকরকম বেড়ে যাবে।
এমন নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে যে কোম্পানিগুলো উদ্ভাবনে শীর্ষে রয়েছে, তারা নিজেদের কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারে বিনিয়োগকারীরাও ইউরোপে এআইয়ের জন্য রাখা অর্থ তুলে নিতে পারে।
ওপেনএআই-এর স্যাম অল্টম্যান কিছুদিন আগেই সতর্ক করেছিলেন, ইউরোপ যদি কঠোর নীতিমালার দিকে যায় তবে তার কোম্পানি ইউরোপ থেকে চ্যাটজিপিটি প্রত্যাহার করতে পারে। পরে অবশ্য তিনি বলেন যে, ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা তার কোম্পানির নেই।