Published : 13 May 2025, 03:26 PM
যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট অফিসের পরিচালককে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
এ খবর প্রথম প্রকাশ করে আমেরিকান মিডিয়া কোম্পানি পলিটিকো। তারা প্রতিবেদনে লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের রেজিস্টার অফ কপিরাইটস এবং কপিরাইট অফিসের পরিচালক শিরা পার্লমাটারকে বরখাস্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
কপিরাইট অফিস সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, জেনারেটিভ এআই প্রশিক্ষণের জন্য কপিরাইটওয়ালা লেখা বা ছবি ব্যবহারের বিষয় নিয়ে চিন্তিত তারা। গত এক বছরে কপিরাইট আইন ও এআই নিয়ে প্রকাশ পাওয়া অফিসের তিনটি প্রতিবেদনের মধ্যে এটি ছিল তৃতীয়।
এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পরই পার্লমাটারকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
রেজিস্টার অফ কপিরাইটস কংগ্রেসের লাইব্রেরিয়ান-এর অধীনে কাজ করেন। এ পদে এতদিন কাজ করেছেন কারলা হেইডেন। এ সপ্তাহের শুরুতে তাকে ‘ডিইআই’ কার্যক্রমের কারণে বরখাস্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ খবর মার্কিন পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস-কে বলেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বিভিন্ন অফিসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে কাজ করছে ট্রাম্প প্রশাসন বিশেষ করে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ বা ডিওজিই।
এপ্রিল মাসে হোয়াইট হাউস নিজেদের সব ফেডারেল সংস্থাকে বলেছে, তারা যেন এআই নিয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করে এবং এমন একজন ‘চিফ এআই অফিসার’ নিয়োগ দেয় যিনি এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব ও এআই ব্যবহারে উৎসাহ দেবেন।
পার্লমাটারকে বরখাস্তের খবর প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে “কোনও আইনি ভিত্তি ছাড়াই এক নির্লজ্জ, নজিরবিহীন ক্ষমতা দখলের চেষ্টা, যার কোনো আইনি ভিত্তি নেই” বলে বর্ণনা করেছেন হাউস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জো মোরেল।
তিনি বলেছেন, “এটা নিশ্চয়ই কোনও কাকতালীয় বিষয় নয়। কারণ ইলন মাস্কের এআই প্রশিক্ষণের জন্য কপিরাইটওয়ালা তথ্য ব্যবহারের অনুমোদন দিতে অস্বীকার করার একদিন পরই তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প।”