Published : 22 Nov 2017, 01:58 PM
বেহজাস মেসরি নামের ওই ব্যক্তি কম্পিউটার জালিয়াতি, তার জালিয়াতি, চাঁদাবাজি আর পরিচয় হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
মার্কিন সরকারের ভারপ্রাপ্ত কৌঁসুলী জুন কিম নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মেসরি ইরানে আছেন। মার্কিন কর্তৃপক্ষও তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করতে পারেনি।
কিম বলেন, “তিনি (অভিযুক্ত) আটকাদেশ ও হস্তান্তরের ভয়ে আর কখনও ভ্রমণ করতে পারবেন না।”
মেসরি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায়ও যুক্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে। মার্কিন কৌঁসুলীদের দাবি, তিনি ইরান সামরিক বাহিনীর জন্য কাজ করেন আর মার্কিন ওয়েবসাইটগুলো আক্রমণ করতে চালানো প্রচারণায় তিনি সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
কিম বলেন, তিনি একজন “অভিজ্ঞ ও দক্ষ হ্যাকার” যিনি কিছু সময়ের জন্য বিশ্বজুড়ে কম্পিউটার ব্যবস্থাগুলো ধ্বংসে চেষ্টা চালান। ২০১৭ সালের মে মাস থেকে মেসরি এইচবিও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক আর কর্মীদের অনলাইনে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন।
“এরপরের কয়েক মাসে তিনি সফলভাবে একাধিক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেন এবং মিডিয়া জায়ান্টটির সার্ভারে প্রবেশ করতে সক্ষম হন।”- বলা হয়েছে আদালতে দাখিল করা দলিলে। এতে আরও বলা হয়, এর কয়েক সপ্তাহ পর মেসরি প্রায় দেড় টেরাবাইট ডেটা হাতিয়ে নেওয়ার দাবি করেন আর এইচবিও কর্মীদের কাছে ইমেইল পাঠানোর মাধ্যমে চাঁদা চান। ওই মেইলে বলা হয়, “সব হতভাগাদের ‘হাই’। হ্যাঁ এটি সত্য! এইচবিও হ্যাকড!”
বিটকয়েনে চাওয়া মুক্তিপণের কোনো অর্থ ওই হ্যাকারকে পরিশোধ করা হয়েছিল কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ নিয়ে এখনও মেসরি’র কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও খবর-