Published : 11 Jun 2023, 07:52 PM
স্ট্রিমিং সেবা নেটফ্লিক্সের পাসওয়ার্ড শেয়ারিং নীতিমালা নিয়ে প্রাথমিকভাবে গ্রাহকরা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেও সম্ভবত সিদ্ধান্তটি পরিকল্পনামাফিক কাজ করেছে এই স্ট্রিমিং জায়ান্টের জন্য।
বাজার বিশ্লেষক ‘অ্যান্টেনার’ প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, এই বছরের ২৬ ও ২৭ মে দৈনিক প্রায় এক লাখ গ্রাহক নেটফ্লিক্সে সাইনআপ করেছেন। এর কিছুদিন আগে মার্কিন গ্রাহকদের পাসওয়ার্ড শেয়ারিং সুবিধা বন্ধের ঘোষণা দেয় এই স্ট্রিমিং জায়ান্ট।
২৩ মে কোম্পানি গ্রাহকদের জানায়, ব্যবহারকারীর বাড়ির বাইরে প্রতিটি পাসওয়ার্ড শেয়ারিংয়ে মাসিক বাড়তি সাত দশমিক ৯৯ ডলার গুণতে হবে।
ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কানাডা, নিউ জিল্যান্ড, স্পেইন ও পর্তুগালেও একই নিয়ম চালু করে নেটফ্লিক্স।
অ্যান্টেনার প্রতিবেদন বলছে, ক্র্যাকডাউন ঘোষণার সময় স্ট্রিমিং সেবাটির দৈনিক সাইনআপ ছিল ৭৩ হাজার, যা এর আগের ৬০ দিনের গড় হিসাবের দ্বিগুণেরও বেশি। এমনকি কোভিড লকডাউনের প্রাক্কালে অ্যান্টেনার পর্যবেক্ষণ করা সাইনআপ সংখ্যাকেও এটি ছাড়িয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ।
২৩ মে’র ঘোষণার পর থেকে সেবা থেকে বেরিয়ে যাওয়া গ্রাহকের সংখ্যাতেও উত্থান দেখেছে নেটফ্লিক্স। কোম্পানি এমন ফলাফলের ধারণা করলেও তাদের বিশ্বাস ছিল যে এই ধাক্কা স্বল্পমেয়াদী হবে।
অ্যান্টেনা বলছে, গ্রাহক ছেড়ে যাওয়ার ধাক্কা সাইনআপ সংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় সামান্যই ছিল। এর আগের ৬০ দিনের গড় হিসাবের বিপরীতে সাইন আপ বাতিলের মাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৫ দশমিক ছয় শতাংশে।
যুক্তরাষ্ট্রে নেটফ্লিক্সের পাসওয়ার্ড শেয়ারিংয়ের প্রভাব কতোটা পড়েছে, তা কেবল সময়ই বলে দেবে। তবে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এটি ইতিবাচক ফলাফলই দেখাচ্ছে। এর আগে নেটফ্লিক্স অনুমান করেছে, তাদের সেবায় ১০ কোটির বেশি পরিবার অন্যদের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট শেয়ার করেন। এর মধ্যে তিন কোটি গ্রাহকই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার।