Published : 26 Jan 2024, 11:26 AM
অ্যাপলের পর বিশ্বের দ্বিতীয় কোম্পানি হিসেবে তিন লাখ কোটি ডলার বাজারমূল্যের মাইলফলক স্পর্শ করেছে মাইক্রোসফট।
এ বছর শুরুর পর থেকেই ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজারে শীর্ষ অবস্থান দখল নিয়ে ক্রমাগত ওঠানামায় রয়েছে কোম্পানি দুটি। এমনকি জানুয়ারির শুরুতে কিছু সময়ের জন্য সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানিটির কাছে নিজের মুকুটও হারাতে দেখা গেছে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটিকে। এরপর অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময়ের জন্যই শীর্ষস্থানে অবস্থান নেয় মাইক্রোসফট।
সম্প্রতি মাইক্রোসফটের শেয়ারমূল্য এক দশমিক সাত শতাংশ বেড়ে গিয়ে উঠেছিল ৪০৫ দশমিক ৬৩ ডলারে, যার ফলেই তিন ট্রিলিয়ন বাজারমূল্যের মাইলফলকে পৌঁছে যায় কোম্পানিটি।
তবে, শেয়ারবাজারে ৪০২ দশমিক ৫৬ ডলারে দিন শেষ করায় মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য কমে দাঁড়ায় দুই লাখ ৯৯ হাজার কোটি ডলারে। আর কোম্পানিটি ৪০৩ দশমিক ৬৫ ডলারে দিন শেষ করলে তাদের বাজারমূল্য তিন লাখ কোটি ডলারই থাকত বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
অ্যাপলের শেয়ারমূল্য শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে ঠেকেছে সাড়ে ১৯৪ ডলারে, যার ফলে কোম্পানিটি তিন ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য নিয়ে দিন শেষ করেছে বলে উঠে এসেছে বাজার বিশ্লেষক কোম্পানি এলএসইজি’র তথ্যে।
চ্যাটজিপিটি’র নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের পেছনে বিশাল বিনিয়োগের পরপরই ভাগ্যের চাকা খুলেছে মাইক্রোসফটের, যার ফলে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির বাজারেও গুগল, অ্যামাজন, ওরাকল ও মেটার মতো শীর্ষ কোম্পানির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কোম্পানিটি।
ওপেনএআইয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজস্ব ফ্ল্যাগশিপ সফটওয়্যার পণ্যের পাশাপাশি বিং সার্চ ইঞ্জিনেরও নতুন সংস্করণ চালু করেছে মাইক্রোসফট, যার লক্ষ্য সার্চ ইঞ্জিন খাতে গুগলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়ানো।
অন্যদিকে, নিজেদের ফ্ল্যাগশিপ পণ্য আইফোনের চাহিদা কমতে দেখেছে অ্যাপল, বিশেষ করে চীনে। আর হুয়াওয়ের’র মতো বিভিন্ন স্থানীয় কোম্পানির প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে নিজস্ব ফোনের বিক্রি বাড়াতে সে দেশের গ্রাহকদের জন্য মূল্যছাড়ও দিয়েছে মার্কিন এ টেক জায়ান্ট, যা কোম্পানিটির পণ্য বিক্রির ইতিহাসে বিরল এক ঘটনা।
“আমার মতে, মাইক্রোসফটের এমন সাফল্যে বড় হাত রয়েছে এআই প্রযুক্তির।” — বলেন বিনিয়োগ কোম্পানি ‘স্টাইফেল’-এর বিশ্লেষক ব্র্যান রেব্যাক।
তিনি আরও যোগ করেন, অ্যাপলের এমন কোন ‘এআইভিত্তিক গল্প’ নেই, যার ফলে তাদের আইফোন বিক্রির অগ্রগতি নিয়েও শঙ্কা দেখা গেছে।
এলএসইজি’র তথ্য অনুসারে, মাইক্রোসফটের শেয়ার পর্যবেক্ষণ করা ৫৪ জন বিশ্লেষকের মতে, তিন ট্রিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য থাকতে হবে ৪২৫ ডলারের মধ্যে, যা এক মাস আগেও ছিল ৪১৫ ডলার। আর তাদের সিংহভাগই ‘শেয়ার কেনার দিকে’ ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।