Published : 06 Jul 2023, 08:15 PM
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা অঙ্গরাজ্যে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই সেটি উঠিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টিকটক।
চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা পয়লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
মে মাসে মার্কিন বিচারক ডনাল্ড ডব্লিউ মলয়ের কাছে এই দণ্ডে সাময়িক স্থগিতাদেশ চায় টিকটক। নজিরবিহীন ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে টিকটক নিজের ও এর ব্যবহারকারীদের ওপর মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে ঘোষিত বাকস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন’সহ বেশ কয়েকটি যুক্তি দেখিয়েছে।
টিকটকের ‘গ্লোবাল বিজনেস সলিউশন’ বিভাগের প্রেসিডেন্ট ব্লেক চ্যান্ডলি আদালতে জমা দেওয়া নথিতে বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা কোম্পানির ব্যবসা ও ব্র্যান্ডে বড় ধরনের ক্ষতি করবে। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বিজ্ঞাপনদাতা ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কেও প্রভাব ফেলবে।
টিকটক আরও যুক্তি দেখাচ্ছে, যে বিষয়গুলোকে কারণ দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেগুলো আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইনের আওতাধীন। এর ফলে নতুন আইনটির মাধ্যমে আসলে ফেডারেল আইনে নাক গলানো হয়েছে। আর এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিও লঙ্ঘন করে।
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবহারকারী ১৫ কোটির বেশি। তবে, প্ল্যাটফর্মটিতে চীনা সরকারের প্রভাব থাকতে পারে এই আশংকায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন মার্কিন আইন প্রণেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
মামলায় টিকটক বলেছে, তারা ‘চীনা সরকারের সঙ্গে মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডেটা শেয়ার করেনি ও করবেও না। আর ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে প্ল্যাটফর্মটি’।
চ্যান্ডলি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ‘বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতার পাশাপাশি ব্যবসায়িক অংশীদাররাও টিকটকের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে’।
মন্টানার আইন অনুসারে, প্রতিবার আইনটির লঙ্ঘনে টিকটকের ওপর ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তবে, টিকটক ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের বেলায় এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
টিকটকের অনুমান, সর্বমোট ১১ লাখ মার্কিন নাগরিকের ওই অঙ্গরাজ্যে সেবাটির তিন লাখ ৮০ হাজার বা এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে।
২০২০ সালে টিকটক ও চীনা কোম্পানি টেনসেন্ট মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপ উইচ্যাট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন লেনদেন ও নতুন ডাউনলোডে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালান সে সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে, আদালতের বেশ কয়েকটি রায় ওই নিষেধাজ্ঞা আটকে দেয়।