Published : 24 Apr 2023, 04:11 PM
প্রায় এক দশক ধরে মাইকেল শুমাখারকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। ২০১৩ সালের শেষ দিকে স্কি করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ায় তার ফর্মুলা ওয়ান ক্যারিয়ারেরও ইতি ঘটেছে। সেই শুমাখারের সাক্ষাৎকার ছেপেছে এক জার্মান ম্যগাজিন, প্রচ্ছদে তার হাস্যোজ্জ্বল মুখ!
এআইনির্ভর ওই আর্টিকলের জন্য চাকরি হারিয়েছেন ম্যাগাজিন সম্পাদক, ক্ষমা চেয়েছে পত্রিকিাটি। পাশাপাশি এই ফর্মুলা ওয়ান গ্রেটের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এর প্রকাশকরা।
ফর্মুলা ওয়ান রেসে সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শুমাখারের বয়স এখন ৫৪।
নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে ফাঙ্কে মিডিয়া গ্রুপ, যার ওয়েবসাইটে এর মালিকানাধীন ১১৮টি প্রকাশনার নাম মিলেছে। সাপ্তাহিক ওই প্রকাশনাটির নামের বাংলা প্রতিশব্দ ‘বর্তমান’।
“এই রুচিহীন ও বিভ্রান্তিকর নিবন্ধ কখনওই প্রকাশ করা উচিৎ হয়নি। আমাদের পাঠকরা ফাঙ্কের মতো প্রকাশকের কাছ থেকে সাংবাদিকতার যে মানদণ্ড আশা করেন, এটা কোনোভাবেই তার সঙ্গে যায় না।” --বলেন ফাঙ্কে ম্যাগাজিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিয়াংকা পোলম্যান।
“এই নিবন্ধ প্রকাশের ফলাফল হিসেবে, অবিলম্বেই এর সঙ্গে জড়িত কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
“ডাই অ্যাকতুয়েলা’র প্রধান সম্পাদক অ্যান হফম্যান, যিনি ২০০৯ সাল থেকে পত্রিকাটির সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করেছেন, তাকে আজ থেকে নিজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।”
পত্রিকাটির সর্বশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদে শুমাখারের হাস্যোজ্জ্বল ছবির সঙ্গে শিরোনাম ছিল, ‘মাইকেল শুমাখার, প্রথম সাক্ষাৎকার’।
সঙ্গে ট্যাগলাইন ছিল, “একেবারে বিভ্রান্তিমূলকভাবে বাস্তব!”
কাল্পনিক ওই সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন ‘উদ্ধৃতি’ দেখা গেছে, যেগুলো তৈরি করেছে এআই।
শুমাখারের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে তার পরিবার। আর তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাই তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পর মাইকেল শুমাখারের পরিবার বলেছে, তারা পশ্চিম জার্মানির এসেন শহরভিত্তিক কোম্পানি ‘ফাঙ্কে মিডিয়া গ্রুপ’ মালিকানাধীন সাপ্তাহিক ‘ডাই অ্যাকতুয়েলা’র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
“আমরা একসঙ্গে বাসায় থাকি। আমরা থেরাপি করি। মাইকেলকে আগের চেয়ে সুস্থ করে তুলতে, ও যেন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, সেটি নিশ্চিত করতে ও পারিবারিক বন্ধন বজায় রাখতে আমরা যা সম্ভব তাই করছি।” --২০২১ সালে এক নেটফ্লিক্স তথ্যচিত্রে বলেন জার্মান এই রেসারের স্ত্রী করিনা।
“আমরা এমন উপায়ে এই পরিবার চালানোর চেষ্টা করছি, যা মাইকেল পছন্দ করতো ও এখনও করে। আর আমরা নিজেদের জীবন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।”