Published : 16 Aug 2023, 02:38 PM
প্রযুক্তিটির ব্যবহার হচ্ছিল আগে থেকেই। জিমেইলের স্প্যাম মেইল বাছাই করা, ফেইসবুকে সহিংসতা বা নগ্নতা বা অন্য কোনো কারণে অনুপযুক্ত ছবি বাছাইয়েও ব্যবহৃত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা মেশিন লর্নিং ব্যবস্থা। এখন এ সেক্টরে সবচেয়ে প্রভাবশালী কোম্পানিটি সায় দিচ্ছে কনটেন্ট মডারেশনে এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে।
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআই বলছে, কনটেন্ট মডারেশনের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা।
এ ক্ষেত্রে সুবিধা উল্লেখ করতে গিয়ে কোম্পানির যুক্তি, সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন জটিল কাজ আগের চেয়ে দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সহায়ক হতে পারে এআই প্রযুক্তি।
‘জেনারেটিভ এআই’ নিয়ে চলমান উন্মাদনার পরও মাইক্রোসফট ও গুগলের মালিক অ্যালফাবেটের মতো কোম্পানিগুলো এখনও এই প্রযুক্তি থেকে আর্থিক আয়ের পথে এগোয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। তবে, বিভিন্ন শিল্পে এই প্রযুক্তি বড় প্রভাব ফেলবে, এমন আশায় কোম্পানিগুলো এই খাতে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ চালিয়ে যাচ্ছে।
মাইক্রোসফট সমর্থিত সফটওয়্যার কোম্পানি ওপেনএআই বলেছে, তাদের সর্বশেষ প্রকাশিত ‘জিপিটি ৪’ মডেল কনটেন্ট মডারেশন প্রক্রিয়ার সময় কয়েক মাস থেকে কয়েক ঘণ্টায় নামিয়ে আনার পাশাপাশি আগের চেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ কনটেন্ট লেবেলিংয়ের সুবিধা নিশ্চিত করবে।
ফেইসবুকের মালিক মেটার মতো সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে কনটেন্ট মডারেশন বেশ জটিল এক কাজ। শিশু নিপীড়ন ও সহিংসতার মতো কনটেন্ট ব্লক করার লক্ষ্যে এখন গোটা বিশ্বের হাজার হাজার মডারেটরদের সঙ্গে কাজ করছে কোম্পানিটি।
“কনটেন্ট মডারেশন প্রক্রিয়া সহজাতভাবেই ধীরগতিতে চলে। আর এটি মানব মডারেটরদের মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলতে পারে।” --বলেছে ওপেনএআই।
“এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কনটেন্ট সংশ্লিষ্ট নীতিমালার বিকাশ ও কাস্টমাইজের প্রক্রিয়া কয়েক মাস থেকে কয়েক ঘণ্টায় কমিয়ে আনা সম্ভব।”
আলাদাভাবে, মঙ্গলবার ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান বলেন, তার প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপ কোম্পানিটি ব্যবহারকারীর দেওয়া ডেটার ভিত্তিতে এআই মডেলের প্রশিক্ষণ দেয় না।