০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২
২০০৬ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে ইরাকের শাসক সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল দেশটির যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকার। সেই পরিণতি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রায় সাড়ে চার দশক আগে ইরাকের বাগদাদে ‘অপারেশন অপেরা’ নামে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এবারও একইভাবে দফায় দফায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানল দেশটি।
১৯৫০ এর দশকের শেষের দিকে ইরাকের পারমাণবিক কর্মসূচি আকার নিতে শুরু করলেও সাদ্দাম হোসেনের আমলে এসে ১৯৭০ এর দশকে এটি গতি পায়।
প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্ব আজ এক ভয়াবহ নৈতিক সংকটে নিপতিত। ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে তাদের মনোভাবে তার প্রতিফলন ঘটছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরাক সরকারকে বারবার সতর্ক করার পর উত্তেজনা প্রশমনে এই পদক্ষেপ এল।
আইএস একসময় উত্তর-পূর্ব সিরিয়া থেকে শুরু করে ইরাকের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছিল, এবং প্রায় ৮০ লাখ মানুষের ওপর তাদের নৃশংস শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলার জবাব দিতে ইরাকি সেনাবাহিনীর সাহায্য নিতে পারে ইরান।
সম্ভবত ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগেই ইরান পাল্টা জবাব দেবে বলে আশঙ্কা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার।