০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
‘মেয়েরা দেখলাম, দেখেন—সুন্দর ড্রেস পরে আছে। অথচ এদের ম্যাক্সিমাম মাদকের সঙ্গে জড়িত’— স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই মন্তব্য শুধু নারীদের পোশাক নয়, প্রশ্নের মুখে ফেলেছে নারীর স্বাধীনতা ও মর্যাদার প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে।
নারীরা রাজনীতিতে এলেও শেষতক তারা গৃহস্থালি কর্মে ফিরে গেছেন। রাজনীতিতে সক্রিয় করতে নির্বাচনে অন্তত ৩৩ শতাংশ মনোনয়ন নারীদের জন্য বরাদ্দ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা।
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য আর আলোচনার মধ্যেই শ্রমিক, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক এবং পেশাজীবী সংগঠনগুলোর আয়োজনে ঢাকায় হল ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এ কর্মসূচির স্লোগান ছিল ‘সমতার দাবিতে আমরা’।
একটি দল ডান, বাম, না মধ্যপন্থী তা নির্ভর করে তার ঘোষিত রাজনৈতিক মতাদর্শ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং কর্মসূচির ওপর।
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তরের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন কমিশনের সদস্যরা। তারা বলেন, নারীর সত্যিকারের মুক্তি আনতে যা যা করণীয়, সেগুলোই সুপারিশ করা হয়েছে।
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন শনিবার জমা পড়েছে প্রধান উপদেষ্টার কাছে; যাতে ১৫টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
“নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা ও খাটো করে রাখার প্রবৃত্তি যারা ধারণ করে, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন,” বলেন তিনি।
“প্রাত্যহিক জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে একটু একটু করে বেড়াজালগুলো ভাঙছি। ফলে আমার কাছে মনে হয়, একটা লম্বা যুদ্ধ,” বলেন সেউতি সবুর।