Published : 11 May 2025, 03:23 PM
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে কিইভের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশ আলোচনায় বসবে তবে তার আগে রাশিয়াকে ১২ মে থেকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে।
ইউক্রেইনের এ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “রাশিয়ানরা যে অবশেষে যুদ্ধ শেষ করার কথা ভাবছে, তা বেশ ইতিবাচক লক্ষণ। সমগ্র বিশ্ব অনেক দিন ধরে এর জন্য অপেক্ষা করছে। আর যে কোনো যুদ্ধ থামানোর প্রথম ও জরুরি শর্তই হলো যুদ্ধবিরতি।”
“একটি দিনও মানুষ হত্যা অব্যাহত রাখার কোনো কারণ থাকতে পারে না। আমরা আশা করছি, রাশিয়া আগামীকাল ১২ মে থেকে পূর্ণাঙ্গ, টেকসই ও নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, আর ইউক্রেইনও তাদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত,” জেলেনস্কি এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
পুতিনের সরাসরি আলোচনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, ইউক্রেইন যুদ্ধ থামানোর প্রত্যয় নিয়ে যিনি দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করেছেন।
“এই অবিরাম ‘রক্তস্নান’ শেষ হবে বলে আশা করছি, তাহলে কত শত প্রাণ বাঁচবে ভাবুন। এটা হবে পুরোপুরি নতুন এবং অনেক চমৎকার একটি বিশ্ব,” দুই পক্ষের সরাসরি আলোচনায় বসা নিশ্চিত করতে কাজ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে বলেন ট্রাম্প।
এদিকে জেলেনস্কির মন্তব্যের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেইন সরাসরি আলোচনা শুরু করতে হলেও ‘আগে যুদ্ধবিরতি দরকার’।
তিনি এবং ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের শীর্ষনেতা শনিবার কিইভে একত্রিত হয়ে রাশিয়াকে সোমবার থেকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে মস্কোকে ‘ব্যাপক’ নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তারা।
ইউক্রেইন এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি, এখন রাশিয়ার দিক থেকেও একই ধরনের ‘প্রতিক্রিয়া আশা করছেন’ তারা।
“যখন অস্ত্র কথা বলে তখন কোনো আলোচনা হতে পারে না,” বলেছেন তিনি।
জেলেনস্কির গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী আন্দ্রি ইয়ারমাকও বলেছেন, মস্কো-কিইভ সরাসরি আলোচনার আগে রাশিয়াকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে।
“প্রথমে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি, তারপর বাকি সব। রাশিয়া যেন কথার খেলা দেখিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা না করে,” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনটাই বলেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রধান ইয়ারমাক।