Published : 10 May 2025, 10:13 AM
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতায় পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশকে অবিলম্বে উত্তেজনা নিরসনে আহ্বান জানিয়েছে শিল্পোন্নত ৭টি দেশের জোট জি৭।
“আমরা, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা, সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হওয়া জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার দৃঢ় নিন্দা জানাচ্ছি এবং ভারত ও পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে অনুরোধ করছি,” শনিবার এক বিবৃতিতে তারা এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
বিবৃতিতে উত্তেজনা আরও বাড়লে তা ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি’ হয়ে দেখা দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। শিল্পোন্নত এ দেশগুলো সংঘাতের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষের বেসামরিকদের নিরাপত্তা নিয়েও গভীর উদ্বিগ্ন।
“অবিলম্বে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানাচ্ছি আমরা, পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে উভয় দেশকে সরাসরি সংলাপে বসতে উৎসাহিতও করছি। আমরা পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছি এবং দ্রুত ও স্থায়ী কূটনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে আমাদের সমর্থন ব্যক্ত করছি,” বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
কানাডা এ বছর জি৭ এর নেতৃত্ব নিতে যাচ্ছে। অ্যালবার্টার কানানাস্কিসে ১৫-১৭ জুন জোটের শীর্ষ সম্মেলনে নেতৃত্বের এ হাতবদল হবে।
এদিকে শনিবার ভোররাতে ভারত পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৩টায় পাকিস্তানের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে ভারতীয় হামলার পরপরই পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি দুপুর পর্যন্ত সব ধরনের বিমান চলাচলের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে ভারতের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি দেশটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ৩২টি বিমানবন্দর আগামী ১৫ মে সকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন, যদিও ভারতের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করেছে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।
আক্রান্ত ঘাঁটিগুলোর মধ্যে একটি হলো রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমান ঘাঁটি, যা দেশটির সামরিক সদর দপ্তর। এই ঘাঁটি রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
পরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ জানায়, ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখা (আইএসপিআর) জানিয়েছে, পাল্টা এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বনিয়ান মারসুস’।
এরই মধ্যে ভারতের একটি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি ইসলামাবাদের।
তাদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভারত যেসব বিমান ঘাঁটি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, সেগুলোকে নিশানা করছে ইসলামাবাদ। একটি ফিল্ড সাপ্লাই ডিপো, ব্যাটারি সাইট, বড় কামানের অবস্থান এবং ব্রিগেড সদর দপ্তরে আঘাত হানা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জাতীয় কমান্ড কর্তৃপক্ষের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। এ সংস্থাটি পাকিস্তানের পারমাণবিক সম্পদ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে।