Published : 28 May 2025, 05:02 PM
ইউক্রেইনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে আক্রমণ চালানোর জন্য রাশিয়া ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা জড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
মঙ্গলবার ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আক্রমণের জন্য রাশিয়া তাদের সেরা কিছু বাহিনীও মোতায়েন করেছে।
কিন্তু তারা যেন বড় ধরনের হামলা চালাতে না পারে তার জন্য কিইভ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
রয়টার্স লিখেছে, রাশিয়া তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, অপরদিকে কিইভ মস্কোর একটি খসড়া সমঝোতা স্মারকের জন্য অপেক্ষা করছে যেটিতে যুদ্ধবিরতি আলোচনা এগিয়ে নিতে তাদের শর্তগুলো উল্লেখ করা থাকবে।
সুমি অঞ্চলটির অবস্থান রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলের সীমান্তের অপর পাশে। এর আগে রাশিয়ার এই কুর্স্ক অঞ্চল দখল করে নিয়ে কয়েক মাস তা ধরে রেখেছিল ইউক্রেইন। কিন্তু গতমাসে রুশ বাহিনী কুর্স্ক থেকে তাদের প্রায় পুরোপুরি হটিয়ে দিয়েছে। তারপরও তারা সেখানে কিছু ছোট এলাকার দখল ধরে রেখেছে বলে দাবি ইউক্রেইনের।
মঙ্গলবার জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সেনাদের কুর্স্ক অঞ্চল থেকে বের করে দিতে ও সুমি অঞ্চলের বিরুদ্ধে আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে তাদের বৃহত্তম, সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনীগুলো এখন কুর্স্ক যুদ্ধক্ষেত্রে।”
পুতিন বলেছেন, ইউক্রেইনের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত বরাবর তিনি একটি ‘বাফার জোন’ চান। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস রাশিয়া ইউক্রেইনের ভূখণ্ডের ১০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত একটি এলাকা দখলে নিতে চায়।
সম্প্রতি সুমি অঞ্চলে রাশিয়া অন্তত চারটি ইউক্রেইনীয় গ্রামের দখল নিয়েছে। এরপর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা ইউক্রেইনের কোস্টিয়ান্টিনিভকা শহরের কাছে পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, দুই দিনে তাদের বাহিনীগুলো রুশদের চার কিলোমিটার পেছনে ঠেলে দিয়েছে।
এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, তার সরকার যে কোনো ফরম্যাটে ফের শান্তি আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুত আছে। তিনি জানান, তিনি আশা করছেন পরবর্তী পর্বের আলোচনা টেকনিক্যাল স্তরে হবে। তবে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ ত্রিমুখী বৈঠকের জন্যও প্রস্তুত আছেন বলে জানান।
তিনি জানান, তিনি চান না যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইন শান্তি প্রক্রিয়া থেকে সরে যাক। এই শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি না হলে ওয়াশিংটন এটি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে।