Published : 06 Jun 2025, 12:02 PM
রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়াতেই হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়লেন যাত্রীরা; দরজা দিয়ে ঢুকতে না পেরে অনেকে উঠে পড়লেন ছাদে।
ঈদযাত্রার শেষ দিন শুক্রবার এমন চিত্র দেখা গেল কমলাপুরে। যে যেভাবে পারছেন, ট্রেনে উঠে পড়ছেন। আগাম টিকেট না পাওয়া যাত্রীরা ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে ও ছাদে যাচ্ছেন।
একতা এক্সপ্রেস ছাড়ার সময় সকাল ১০টা হলেও দেড় ঘণ্টা আগেই প্ল্যাটফর্মে আসে ট্রেনটি। দুয়েকটি বাদে বেশিরভাগ ট্রেনই ছেড়ে যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ে। সব ট্রেন যাত্রীতে পূর্ণ।
একতা এক্সপ্রেসের যাত্রীদের একজন আশরাফুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই ট্রেন প্রতিদিন লেট করে ছাড়ে। কিন্তু এবার ভালোই মনে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলে এসেছে।”
অপরদিকে কক্সবাজারের পথে চলাচল করা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ৯টার মধ্যেও ট্রেনটি কমলাপুরে দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসার পথে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
এ কারণে ট্রেনটি ছাড়াও সময় দেওয়া হয় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটির প্রায় আট-নয়শ যাত্রী ছিলেন কমলাপুরে অপেক্ষায়।
আব্দুল্লাহ আল আসিফ নামে এক যাত্রী বলেন, “আমরা ভোর পৌনে ৬টায় এসেছি। এরপর থেকে অপেক্ষায় আছি। কাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১১টায় ওই ট্রেন অ্যাকসিডেন্ট করেছে। এখন বাজে ৯টা। আমরা প্রায় ১ হাজার মানুষ অপেক্ষায় আছি। ট্রেন কখন আসবে সেটা বলার মত কেউ নেই।”
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়ার থাকলেও ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্তও সেটি কমলাপুরেই ছিল। ১০টার পর ট্রেনটি ছাড়ার কথা।
শান্তাহারের যাত্রী শাহীন আলম সকাল পৌনে ১০ টায় বলেন, “আমরা ৮টার দিকে স্টেশনে চলে এসেছি। কিন্তু ট্রেন এসেছে দেরিতে। তবে এবার অন্য বছরের মত খুব বেশি দেরি করছে না।”