Published : 24 Sep 2024, 04:15 PM
প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে দুদকের প্রাথমিক অভিযোগে বলা হয়েছে, 'ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০১১ সাল থেকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে থাকার পাশাপাশি গুলশানে হোটেল রেনেসাঁ, গুলশান-২ এ হিলটন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা নির্মাণ করেছেন।
এ সময়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সদস্যও য়েছেন তিনি।
তিনি গত এক যুগে এমন অসংখ্য কোম্পানির মালিক হয়েছেন এবং ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে থেকে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ১৩-১৪ বছরে তিনি শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দেশে-বিদেশে অর্জন করেছেন।
প্রাথমিক গোয়েন্দা অনুসন্ধানে ইকবালের জ্ঞাত-আয় বর্হিভূত সম্পদ রয়েছে প্রমাণ পাওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহিরও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে।
তার নিজ নামে নগদ ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৩৫৩ টাকা, ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র, রাজউকের প্লট, স্ত্রীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে।
তাই তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বর্হিভূত সম্পদের বিষয়ে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।