Published : 05 Jun 2025, 03:03 PM
ঈদে কোরবানির পশুর বর্জ্য ‘পরিবেশসম্মতভাবে’ ব্যবস্থাপনায় নাগরিকের সহযোগিতা চেয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ফেলা ও বর্জ্য ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ তৈরি হয়, যা প্রতিরোধে সকলের সচেতন অংশগ্রহণ চাওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বৃহস্পতিবার ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করতে হবে। উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকতে হবে।
জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা (যেমন: গ্লাভস, মাস্ক, এপ্রন) নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
পশুর রক্ত, গোবর ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটি চাপা দিতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
জবাই করা পশুর উচ্ছিষ্ট, যেমন রক্ত, চামড়া, নাড়িভুঁড়ি, হাড়, শিং, গোবর যেন কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না ফেলা হয়, বরং নির্ধারিত ডাস্টবিন বা স্থানে ফেলা হয়, সেই অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া কোরবানির মাংস বিতরণ বা বর্জ্য অপসারণে প্লাস্টিক নয়, পরিবেশবান্ধব (বায়োডিগ্রেডেবল) ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করছে মন্ত্রণালয়।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে গতবছর তিন দিনে প্রায় ৪৫ হাজার টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছিল।