Published : 20 Nov 2024, 11:38 PM
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি দাবি করে আব্দুর রহিম এ অভিযোগ করেন।
তিনি করেন, গত ৫ অগাস্ট বেলা ৩টার পর মাদ্রাসায় অবস্থানরত ছাত্রদের একটি বড় অংশ আনন্দ-মিছিলে অংশগ্রহণ করতে মাদ্রাসা থেকে বের হলে ‘সুযোগ-সন্ধানীরা’ মাদ্রাসাটি দখল করে নেয়।
তারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদেরও হেনস্তা করে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া ছাড়াও মাদ্রাসার ভেতরে উপস্থিত ছাত্রদের অনেককে মারধর করে বলে অভিযোগ আব্দুর রহিমের।
তিনি এই ঘটনার জন্য হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, তার বড় ভাই মাহফুজুল হক ও তাদের স্বজন এবং মামুনুল হক পরিচালিত আজিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ভাড়াটিয়া লোকদেরকে দায়ী করেন।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে মামুনুল হকের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা ধরেননি। অভিযোগের কথা লিখে মেসেজ দিলেও কোনো জবাব আসেনি।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রহিম বলেন, “ওয়াক্ফ সম্পত্তি এই মাদ্রাসাটি নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এসব বিষয়গুলো আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
“আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২১ সালে ওয়াক্ফ প্রশাসকের দেওয়া বৈধ কমিটি ঘোষণা হলে মাওলানা মাহফুজুল হক মাদ্রাসায় তালা মেরে চলে যান। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় ‘বৈধ কমিটি’ দায়িত্ব বুঝিয়ে নেয়। এরপর থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি ভালোই চলছিল।“
ওয়াক্ফ প্রশাসক চলতি বছরের মে মাসে তাকে সভাপতি করে তিন বছরের জন্য কমিটি গঠন করে জানিয়ে আব্দুর রহিম বলেন, “কিন্তু এই বিষয়টি এখন ‘দখলদার’ রা মানছে না।”
সরকার পরিবর্তনের পর ওয়াক্ফ প্রশাসকও নতুন কমিটি গঠন করেছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং ধর্ম উপদেষ্টার সহযোগিতাও কামনা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
আরও পড়ুন
জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা মামুনুলদের 'দখলমুক্ত'
মামুনুলসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা