Published : 09 Aug 2023, 09:52 PM
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে রাস্তা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
জসিম কুমার সাহা (২৪) নামে ওই যুবক নারায়ণগঞ্জের কদম রসুল সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক (বিএ) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বুধবার বিকাল ৪টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তিনি রাস্তায় বসে পেটব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জসিম কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার ফতেকান্দি গ্রামের রঞ্জিত সাহার ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট।
বড় ভাই অসিম সাহা জানিয়েছেন, জসিম নারায়ণগঞ্জের কদম রসুল ডিগ্রি কলেজে পড়লেও থাকতেন বাড়িতে। মাঝে-মধ্যে ক্লাস করতে কলেজে যেতেন।
গত শনিবার বেড়াতে সিলেট যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন জসিম। মঙ্গলবারও তার সঙ্গে কথা হয়েছিল বলে জানান বড় ভাই অসিম। বুধবার তিনি খবর পান যে, তার ভাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পড়েছিলেন। পথচারীরা তাকে কাছের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করিয়েছে।
খবর পেয়ে অসিম এসে সেই ক্লিনিক থেকে ভাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) রাখা হয় জসিমকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
কী কারণে জসিমের মৃত্যু হয়েছে, তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে কিছুই জানতে পারেননি অসিম।
যাত্রাবাড়ী থানার এসআই কাওসার আহামেদ টিটো হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, এই ছেলে (জসিম) পেট ব্যথায় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় পাশে বালুর উপর বসে ছটফট করছিল। লোকজন তাকে পানি খাইয়েছিল। অচেতন হয়ে পড়লে তাকে কাছের সাফা মারওয়া হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা। সেখান থেকে তার স্বজনকে খবর দেওয়া হয়।”
জসিমের ঠিক কী হয়েছিল- জানতে চাইলে এসআই কাওসার বলেন, “ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে তার ভাই বলেছিল, জসিম মাঝেমধ্যে বলত- তার বুকে ব্যথা হচ্ছে।”
কাউন্সিলর এখনও স্বাভাবিক হননি
গত মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী (১৩, ১৯,ও ২০ ওয়ার্ড) কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেননি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাকে বাসায় নিয়ে গেছেন স্বজনরা।
তার ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনও তার জ্ঞান পুরোপুরি ফেরেনি। কিছু খেতেও পারছে না। আমরা তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করাচ্ছি।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রোকসানাকে জরুরি বিভাগে আনার পর তার পাকস্থলী পরিষ্কার করা হয়েছিল।
তবে কীভাবে তিনি অচেতন হলেন, কেউ খাবারের সঙ্গে তাকে কিছু খাইয়েছিল কি না কিংবা অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।