Published : 15 Jan 2024, 01:27 PM
পৌষের শেষ কয়েকদিন দেশ ঘন কুয়াশার আড়ালে থাকলেও মাঘের প্রথম দিন ঢাকাসহ আরও দুই বিভাগে সূর্যের দেখা মিলেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রোদ ওঠায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে শীতের তীব্রতা কমবে। তবে সপ্তাহের শেষে শীত ফের বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, কিশোরগঞ্জ ও সিলেটে সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে কুয়াশা থাকায় সূর্যের আলোর উত্তাপ তেমন নেই।
“ঢাকায় মাঝারি কুয়াশা আছে। দিনের তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তাতে শীতের অনুভূতির তীব্রতা কমে যাবে।“
অধিদপ্তর বলছে, সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে দেশের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই সময়ে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, বরিশাল ও ভোলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে কালাম মল্লিক বলেন, বুধবার খুলনা বিভাগে হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পরে কুয়াশার ভাব কমবে। এবং তাপমাত্রাও কমে শীত কিছুটা বাড়বে।
মাসের শুরু থেকে শীতের দাপট দেখা গেলেও রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে গত ১১ জানুয়ারি থেকে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর উত্তুরে হাওয়া শীতের অনুভূতি তীব্র করে তোলে। তীব্র ঠাণ্ডায় জনজীবন স্থবির করে কয়েকটি জেলায় বয়ে যায় শৈত্যপ্রবাহ।
সোমবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে কয়েকদিন।
এদিকে শীত বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে খেটেখাওয়া এবং ছিন্নমূল মানুষ। ঠান্ডার নানা ধরনের অসুখ বিসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, এ মাসে দেশে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।