Published : 03 Jun 2025, 09:32 PM
ঈদের দিন থেকে টানা ১০ দিন বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ঢাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষোধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে।
এদিন বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ঢাকার বাইরের চামড়া যাতে সুন্দরভাবে সংরক্ষিত করা যায় সেজন্য সারাদেশে ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে।
“কোরবানির পশুর চামড়ার সুষ্ঠু সংরক্ষণের জন্য সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে।”
এবার গরুর চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে ৫ টাকা এবং ছাগলের চামড়ার দাম ২ টাকা বাড়িয়েছে সরকার।
ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় কিনবেন; গত বছর এই দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
আর ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৫৫ টাকা ৬০ টাকা, গতবছর যা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ছিল।
এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হবে ট্যানারিতে, যা গত বছর ছিল ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা। আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২২ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা।
গত ২৫ মে চামড়ার দাম ঘোষণা করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছিলেন, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে ঈদের পর অন্তত ১৫ দিন পর্যন্ত কাঁচা চামড়া স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণ, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনাসহ তিন মাসের জন্য কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় দশ দিনের আগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না,” বলেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশে সারা বছর যে সংখ্যক পশু জবাই হয়, তার মোটামুটি অর্ধেক হয় কোরবানির মৌসুমে। কোরবানি যারা দেন, তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন পাইকারদের কাছে।
পাইকাররা সেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজটি সেরে বিক্রি করেন ট্যানারিতে। ট্যানারি কেমন দামে চামড়া কিনবে, তা প্রতিবছর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।