Published : 23 Nov 2024, 09:52 PM
বিপণিবিতানে দোকানে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দিনের মত ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে ‘সাময়িকভাবে’ বন্ধ করে দেওয়া যমুনা ফিউচার পার্ক পাঁচ ঘণ্টা পর খুলেছে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মালিকপক্ষের সঙ্গে দোকান মালিকদের বৈঠকের পর আবারও রাজধানীর বৃহত্তম এ বিপণিবিতানে দোকানগুলো খুলতে শুরু করে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার এইচ এম শফিকুর রহমান বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকে ‘সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে’ আবারও শপিংমলের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে যমুনা ফিউচার পার্কের তিনটি মোবাইলের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার শপিংমলের সামনের সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখান দোকান মালিক ও কর্মীরা।
পুলিশ কর্মকর্তা শফিকুর বলেন, “দোকানে চুরিকে কেন্দ্র করে আজ সকালে ব্যবসায়ীরা যমুনার মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করতে চান। কিন্তু যমুনা গ্রুপের পরিচালক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য দুপুর ২টায় সময় নির্ধারণ করে রেখেছিলেন।
“ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সকালে মার্কেট খোলা রাখায় তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। যেহেতু বৈঠকের সময়টি পূর্বনির্ধারিত ছিল, তাই দোকান মালিক ও কর্মচারীদের প্রতিবাদের মুখে বেলা ১১টার দিকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় মার্কেটটি।”
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা আবারও সড়ক আটকে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখান। পরে বেলা ২টায় মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ব্যবসায়ীরা।
সহকারী কমিশনার শফিকুর বলেন, “গ্রুপের মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা মেনে নেন এবং মার্কেটের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সম্মত হন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আবারও মার্কেট চালু করা হয়।”
দোকানে চুরি, রাস্তা আটকে যমুনার ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
তিনটি মোবাইলের দোকানে চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত একটি দোকানের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। রাতের মধ্যে বাকি দুইটি দোকানের পক্ষ থেকেও অভিযোগ পাওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, “দোকান কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে এ ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করে যমুনা ফিউচার পার্ক ও যমুনা গ্রুপের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টায় দোকানদাররা এক দফা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেন। কিছুক্ষণ পর রাস্তা ছেড়ে দিলেও জুমার নামাজের পর আবার তারা রাস্তায় নামেন। তখন সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সেনা সদস্যদেরও দেখা গেছে।