Published : 01 Jun 2025, 08:03 PM
চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট কমাতে ‘মনোরেল’ করতে চায় সিটি করপোরেশন। এ লক্ষ্যে বিদেশি একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
রোববার নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং আরব কনট্রাক্টরস ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের মধ্যে এ সমঝোতা হয়।
এতে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন ও বিদেশি কোম্পানিটির বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি কাউসার আলম চৌধুরী সই করেন।
সমঝোতা সইয়ের পর কোম্পানিটি শুরুতে চট্টগ্রামে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্যতা যাচাইয় করবে বলে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে মেয়র শাহাদাত বলেন, প্রস্তাবিত মনোরেল প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার। এতে বিনিয়োগ হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর অর্থায়ন আনবে আরব কনট্রাক্টরস ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়াম।
“এই বিনিয়োগে সিটি করপোরেশনের দায় থাকবে না। আমরা শুধু প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট ও ভূমি বরাদ্দ দেব।”
এটি শুধু যানজট নিরসন নয় বরং চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব, পর্যটন ও ব্যবসাবান্ধব নগরীতে রূপান্তরের দিকে নিয়ে যাবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, “শহরটাকে কীভাবে সুন্দর ও পরিকল্পিত করা যায়, সে প্রচেষ্টা শুরু থেকেই ছিল। যানজট নিরসনে আমরা ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়, স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম চালু, নতুন বাস টার্মিনাল নির্মাণসহ অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। এর সঙ্গে মনোরেল হলে সমস্যাগুলোর একটি কার্যকর সমাধান হবে।
কাউসার আলম চৌধুরী বলেন, “চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। এখানে যানজট ও পরিবহন সংকট বাড়ছে। এজন্য মনোরেল একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব সমাধান। আমরা এ প্রকল্পে পূর্ণাঙ্গ বিনিয়োগে আগ্রহী।”
প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে বাস্তবায়ন করা হবে তুলে ধরে তিনি বলেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাস ইনভেস্টমেন্ট‘ ও ‘ন্যাশনাল ব্যাংক অব ইজিপ্টের’ মাধ্যমে এ প্রকল্পে বিনিয়োগ আসবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এ কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রামে তিনটি রুটে মনোরেল করার চিন্তা করা হয়েছে। এর মধ্যে কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার; নগরীর সিটি গেইট থেকে শহীদ বশিরুজ্জামান স্কয়ার পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং অক্সিজেন মোড় থেকে ফিরিঙ্গি বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৪ কিলোমিটার।
অনুষ্ঠানে ‘গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের’ সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “চট্টগ্রামকে একটি স্মার্ট ও টেকসই নগরীতে রূপান্তরের অংশ হিসেবে মনোরেল প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও নগরবাসীকে নিয়ে একটি ইকোনমিক ফোরাম গঠন করে এ প্রকল্পকে বাস্তবায়নে কাজ করব।‘‘
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল ও গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের সদস্য সচিব নাজির শাহীন।