Published : 27 May 2025, 01:24 PM
সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আরেক মামলায় জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার এ আদেশ দেয় চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন।
সরকারি কাজে বাধা দান, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের এ মামলাসহ মোট চার মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হল।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে সরকারি কাজে বাধা দান পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের একটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের মঞ্জুর করে আদালত আসামিকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।
“পাশাপাশি ৪ জুনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশও দিয়েছেন।”
এর আগে সোমবার পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের আরেক মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল আদালত। তার আগে গত ১৮ মে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময়কে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণ, রঙ্গম সিনেমা হল ও কোতোয়ালী মোড়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সেদিন রাতেই তিনটি মামলা করেছিল পুলিশ।
এর মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনায় মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০০/৭০০ জনকে, রঙ্গম সিনেমা হলের সামনের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০/৪০০ জনকে অজ্ঞাত এবং কোতোয়ালি মোড়ের ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে অজ্ঞাত আরও ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।