Published : 02 Nov 2022, 10:03 PM
দেশের চা বাগানের শ্রমিক ও উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়টি সরকারকে দেখার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
বুধবার ঢাকা সফররত আইএলও এর চার কর্মকর্তা সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
আইএলও এর ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ (এসএমই) বিশেষজ্ঞ গুনজান দালাকোটি, প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা ইগোর বস্ক, জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক আন্নে দ্রং ও প্রোগ্রাম অফিসার খাদিজা খন্দকার সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন।
শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎ শেষে মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, তারা বাংলাদেশে এ মজুরি সরাসরি বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেননি।
“তবে চা বাগানের শ্রমিক এবং উপকূলীয় এলাকার মৎস্যজীবীদের বেতন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।”
চা শ্রমিকদের নিয়ে সরকারের উদ্বেগ ও ভাবনার কথা সফরকারী প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরার কথা জানিয়েছেন তিনি।
”ইতোমধ্যে চা বাগানের শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছি। আমাদের মত আমরা চেষ্টা করছি বলে জানিয়েছি,” যোগ করেন তিনি।
উপকূলীয় এলাকার মৎস্য শ্রমিকদের জন্যও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কথা প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন তিনি।
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেতন ভাতা না বাড়ার বিষয়টি ‘ভালো নয়’ বলে বৈঠকে আলোচনায় ওঠে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এটা আমাদের মতো দেশে আন-অর্গানাইজড ওয়েতে চলছে। এটা নিয়ে কাজ চলছে, আরও কাজ করব আমরা।”
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রতিনিধি দলকে তিনি বলেছেন, ”এটা আমাদের বাজারের ব্যর্থতায় নয় এটা বিশ্ববাজারের ব্যর্থতা।
”আমাদের বাজার এখন বিশ্বে বাজারের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। অন্য বাজারের চাপগুলো আমাদের এখানে এসেছে।”
তবে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে, তা নিম্নআয়ের দেশ হিসেবে ভালোই বলে মন্তব্য তার।
আইএমএফের ঋণ অর্থনীতিতে স্বস্তি আনবে কি না- এমন প্রশ্নে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ”আমার পকেটে ১০০ টাকা আছে, কেউ ১০ টাকা ধার দিলে কিছুটা ভালো। আইএমএফের ঋণেও কিছুটা সাময়িক স্বস্তি মিলবে।
”তবে সরকার অস্বস্তিতে নেই, সবাই তো বাজারে যায়। বিষয়টা এমন নয় আজকে দাম এক, কালকে হঠাৎ করেই আরেক হল।
বিশ্বজুড়েই মূল্যস্ফীতির ‘একই অবস্থা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কার্তিক মাসে ঘরে চাল কমে যায়। এটা আমাদের সারা বছরের মৌসুমের চরিত্র।
“যেমন মাসের এক তারিখে বেতন পেয়ে পকেট যেমন থাকবে, মাসের শেষে সেই ভাব থাকবে না। মাসের শেষে পকেটে অভাব থাকবে। সারা বিশ্বেই একই অবস্থা থাকে।“