Published : 23 May 2025, 01:40 AM
মাসওয়ারি হিসাব তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে দেশে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের প্রয়োগ ও প্রভাব’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ৩ থেকে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অগাস্টের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে, জুনে ৮ শতাংশে। আর এ বছর শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হবে।
“আগামী এক বছর ৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থাকলেতো বিনিময় হার স্থির রাখতে পারব না।“
গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ৫০ কোটি ডলারের একটি তহবিল তৈরি করেছে। ডলার বাজারে কোনো অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে এ থেকে বাজারকে সহায়তা করবে। তবে ডলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এ তহবিল ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, বিনিময় হার কী হবে সেটা বাংলাদেশ থেকেই নির্ধারণ হবে। বাইরের কোন দেশ বা প্রতিষ্ঠান তা করবে না। গুজব সবার জন্যই খারাপ।
“তাই ডলার কিংবা অন্য যে মুদ্রা হোক না কেন তা ধরে রাখা ঠিক নয়। ডলার দর মার্কেটের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইএমএফের সঙ্গে এতদিন ডলার মার্কেট নিয়ে আলোচনার পর অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার দর বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে সম্মত হয়।
ডলার দর এখনই বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উত্তম সময় বলে গভর্নর মনে করেন।
তিনি বলেন, “অগাস্টের পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি হয় নাই। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ডলার কিনেছি। তাই ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সার্বিক অবস্থা আগের চেয়ে ইন্নতি হয়েছে।”
বাংলাদেশিদের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হওয়ার কথা তুলে ধরে গভর্নর বলেন, উত্তর আমেরিকাতেই ধারণার বাইরে বিপুল অর্থ রয়েছে। সেখানে কত ডলার আছে তা চিন্তা করা যায় না। কথা হল কেন তারা বিদেশে টাকা রাখতে চায়।
”প্রধান কারণ হচ্ছে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা। আমার সম্পদ বাংলাদেশে নিরাপদ কি না এটা বড় প্রশ্ন। তাই এই জায়গায় আমরা সমাধান করতে না পারি তাহলে আলোচনা করে লাভ নেই যে অর্থপাচার হবে কি না।“
গোলটেবিলে বক্তব্য দেন মাস্টার কার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহ্বুবুর রহমান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ।