Published : 03 Jun 2025, 12:21 PM
গান, কবিতা ও স্মৃতিকথায় বাঙালি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন্জীদা খাতুনকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার সংগঠন খামখেয়ালী সভা।
রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সোমবার সন্ধ্যায় এই স্মরণানুষ্ঠান হয়েছে বলে আয়োজকদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত ২৫ মার্চ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সন্জীদা খাতুন। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন সন্জীদা খাতুন।
গত শতকের ষাট দশকে জাতির জাগরণের উত্তাল সময়ে ছায়ানট হয়ে ওঠে বাঙালির সাংস্কৃতিক যাত্রার দিশারী সংগঠন। সন্জীদা খাতুন ছিলেন তার প্রধান কাণ্ডারী।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে খামখেয়ালী সভা ট্রাস্টের সভাপতি মাহমুদ হাশিম বলেন, “সন্জীদা খাতুন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নৈতিকতার একটি মানদণ্ড স্থাপন করে গেছেন। তার নির্দেশিত পথই হতে পারে আমাদের মুক্তির উপায়।“
এর আগে সন্জীদা খাতুন স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী বুলবুল ইসলাম সন্জীদা খাতুনের অবদান তুলে ধরে বলেন, সন্জীদা খাতুন ও ওয়াহিদুল হক বাঙালি সংস্কৃতিকে শক্ত ভিত দিয়েছিলেন।
পরে তিনি ‘তোমায় নতুন করে পাব বলে’ এবং ‘ওগো, পথের সাথি, নমি বারম্বার’ গান দুটি পরিবেশন করেন।
ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় 'ঝড়ের খেয়া’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন।
তিনি বলেন, “তার বিচরণ বহুমুখী ও বহুর্বণী। বাংলা ভাষার জন্য তার অন্যতম অবদান হল তার ‘ধ্বনির কথা, আবৃত্তির কথা’ বইটি। আমার আবৃত্তি ও শিল্পচর্চার পথের অন্যতম অনুসরণীয় হলেন সন্জীদা খাতুন।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক এবং ছায়ানটের শিক্ষক অসীম দত্ত বলেন, সন্জীদা খাতুন কেবল গান শেখাতেন না, গানের অর্থ, প্রেক্ষাপট ও আনুষঙ্গিক ঘটনাও বলতেন। কাব্যগত, ভাবগত, সুরগত অনুভব বুঝিয়ে দিতেন তিনি। সঙ্গীতে তার অবদান মৌলিক ও অনন্য বলে মন্তব্য করেছেন অসীম দত্ত।
চিত্রশিল্পী আব্দুল মান্নান বলেন, সন্জীদা খাতুন ও ওয়াহিদুল হক বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে এমন প্রজন্ম তৈরি করে গেছেন।
তার কথায় এই পরম্পরা ধরে রাখার দায়িত্ব তাদের, যারা তাদের সাহর্চয লাভ করেছেন।