Published : 05 Jan 2025, 08:13 PM
প্রয়াত ব্যান্ডশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু ‘স্বপ্নে দেখা অচিনপুরে’ গানে সুর বুলিয়েছিলেন প্রায় ২২ বছর আগে। সেই সুরে এবার গাইলেন গায়ক এস আই সুমন।
সুমনের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৫ ডিসেম্বর এস আই প্রচার হয়েছে গানটি। এই গানের সংগীতায়োজন করেছেন ভারতের রাজর্ষি মিত্তার।
বিজ্ঞপ্তিতে সুমন বলেছেন, ‘স্বপ্নে দেখা অচিনপুরে’ মেলো রক ধরনের গান; যেখানে সুর ও শব্দের এমন এক মিশ্রণ রয়েছে, যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রোতাদের আবেগময় ভ্রমণে নিয়ে যাবে।
এই গানটি নব্বইয়ের দশকের প্রচলিত গানের অনুভূতি ছাড়াবে বলে মনে করছেন এই শিল্পী। এই গান ঘিরে ২২ বছর আগের এক গল্প শুনিয়েছেন তিনি।
সুমন বলেন, "কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু ভাই গানটির সুর করে ২০০৩ সালের দিকে। প্রথমে গানটির কম্পোজিশন করেন বাপ্পা ভাই। সেসময় আমরা মিউজিক ম্যান স্টুডিওতে গানটি রেকর্ড করি।
"তখন আমার পুরো অ্যালবামের সাতটি গান রেকর্ডিং করেছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ে নানা কারণে গানটি প্রকাশ করা হয়নি।”
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও গানটা প্রকাশ করতে পারায় ‘আনন্দিত’ সুমন। তবে বাচ্চুর না থাকা নিয়ে আক্ষেপ আছে তার।
তিনি বলেন, “পাশে বাচ্চু ভাই থাকলে আনন্দটা আরও বেশি হত।"
সুমন দীর্ঘদিন ধরে সংগীতজগতে জড়িত। গিটারিস্ট, সুরকার, প্রযোজক ও ব্রডকাস্ট অডিও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তিনি।
১৯৯১ সালে তিনি ‘গডস কমান্ড’ নামে একটি রক ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন সুমন এবং সেই সময়ে ইংরেজি হেভি মেটাল গান রেকর্ড করেন সিম্ফনি রেকর্ডিং স্টুডিও থেকে। এর পর থেকে সুমন ব্যান্ড নিয়ে উন্মুক্ত মঞ্চ ও ইনডোর কনসার্টে নিয়মিত পারফর্ম করেছেন।
১৯৯৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মাকসুদ ও ঢাকা ব্যান্ডে পারফর্ম করেছেন সুমন।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নতুন ব্যান্ড হইচই (আগের নাম: চ্যাপ্টার ১)। তিনি ওই ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট।
২০২৩ সালে প্রকাশ হয় সুমনের তিনি ‘কে আছে তুমি ছাড়া’ শিরোনামর গানটি। এ ছাড়া ‘আধারপোকা’, ‘শূন্যতা’, ‘লারেলাপ্পা’ ও ‘আত্মহত্যা’ নামে চারটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন তিনি।
গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘ইনবক্স’ গানটি।
গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক বাচ্চু ভক্তদের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘এবি’ নামে। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর নিভে যায় বাচ্চুর জীবনপ্রদীপ।
তিনি বিদায় নিলেও রয়ে গেছে তার সৃষ্টি সম্ভার। বাচ্চুর পরিচিত গানগুলো ছাড়াও তার সুর করা অপ্রকাশিত গানও রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন