Published : 10 Aug 2024, 11:35 AM
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রবাসীদের সংগঠন ‘ইউনাইটেড হিন্দুজ অব ইউএসএ’।
শুক্রবার বিকালে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের কাছে হ্যামার্সজোল্ট পার্কে এ সমাবেশ করেন তারা।
হিন্দু নিপীড়ন বন্ধে সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন আয়োজকরা। একই আহ্বানে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুপরিকল্পিতভাবে সারা বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ শুরু হয়েছে। আগুন দেওয়া হয়েছে ব্যবসা-বাড়ি ঘরে। ভেঙ্গে চুরমার করা হয় মন্দির। তরুণী-নারীর সম্ভ্রমহানির পর অনেককে হত্যা এবং মোটা অঙ্কের চাঁদা না দেওয়ায় অনেক হিন্দুকে অকথ্য নির্যাতনের পর পুড়িয়ে মারা হয়েছে।’
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রামদাস ঘরামির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ভজন সরকার।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণকারী সব স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি আমরা হিন্দুরা কী অপরাধ করলাম? বারবার সরকার পরিবর্তন হয়, নির্বাচন আসে, পূজা আসে, আর হিন্দুদের ওপর হামলা হয়। পূজা পার্বনের সময়েও হিন্দুরা আক্রান্ত হয়। এই সমস্যার একটা পার্মানেন্ট সমাধান দরকার। বাংলাদেশে ৫/১০ ডিস্ট্রিক্ট নিয়ে সুরক্ষিত একটি আলাদা জায়গা চাই হিন্দুদের জন্য।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রভাত সরকার, মানবাধিকার সংগঠক ও লেখক শিতাংশু গুহ, দীলিপ নাথ, অধ্যাপক দ্বীজের ভট্টাচার্য, সুশীল সাহা ও সুশীল সিনহা। তারা হিন্দু নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
জাতিসংঘের সামনে কয়েক ঘণ্টার এ সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারীরা মিছিল করে মাইলখানেক দূরে টাইমস স্কোয়ারে যান। সেখানে আরেকটি সমাবেশ করেন নতুন প্রজন্মের সদস্যরা।
নতুন প্রজন্মের প্রিয়ন্তি পাল বলেন, “বাংলাদেশে আমার ভাই-বোন, চাচা-মামা, খালা-খালুরা নিরাপদে না থাকলে কখনোই গণতন্ত্র কায়েম করা সম্ভব হবে না। চলমান আক্রমণের জন্য দায়ী দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”