Published : 19 Apr 2024, 11:59 AM
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিকরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপাট সার্ভিসেস’ এর অফিসে এ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করে বাংলাদেশ হাই কমিশন।
হাই কমিশনার মো. শামীম আহসানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
প্রবাসীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশে ২০২০ সালে প্রথম ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়। এ পাসপোর্টে রয়েছে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা কোড। এখন পর্যন্ত এক কোটি ত্রিশ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট চালু করা হলো।”
আবদুল্লাহ আল মাসুদ জানান, বিদেশে ৪৩টি মিশনে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম চালু হওয়ার পর ৪৪তম মিশন হিসেবে মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট চালু হলো। আরও ৩৬টি মিশনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মিশনে পাসপোর্ট সেবায় গুণগত পরিবর্তন এবং এ পাসপোর্টের মাধ্যমে উন্নত দেশের নাগরিকদের মত বাংলাদেশিরাও শীঘ্র নিজে স্ক্যান করে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, “মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। সংখ্যার বিচারে যা সৌদি আরবের পর বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কমিউনিটি। তাদের দাবি অনুধাবন করে ‘ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের’ মাধ্যমে এ কর্মসূচি চালু করা হলো।”
ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধনের খবরে অনুভূতি জানিয়ে প্রবাসী জসিম চৌধুরী বলেন, “ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে ভালো কথা। কিন্তু, প্রবাসীদের বড় একটা অংশের এনআইডি কার্ড নেই, তাদের কী হবে? তারা কীভাবে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন, সে তথ্য জানানো দরকার। তারা যেন ই-পাসপোর্ট করতে ঝামেলায় না পড়ে সে উদ্যোগও নেওয়া দরকার।”
হাই কমিশনের কাউন্সেলর (ভিসা ও পাসপোর্ট) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ নুরুস ছালাম।
এছাড়া হাই কমিশনের মিনিস্টার ও ডেপুটি হাই কমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর, ডেপুটি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল, ডিভিশনাল পাসপোর্ট এবং ভিসা অফিস চট্টগ্রামের পরিচালক মো. সাইদুল ইসলাম ও এক্সপাট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।