Published : 26 Mar 2025, 02:39 PM
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে স্ত্রীকে রেখে তারাবি নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ। নামাজ শেষে ফিরে দেখেন স্ত্রীর গলা কাটা মরদেহ পড়ে আছে ঘরে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ইজঙ্গল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভেদরগঞ্জ থানার ওসি পারভেজ আহমেদ সেলিম।
নিহত মুক্তা বেগম (৫৫) ওই গ্রামের আব্দুল মান্নান গাজীর (৬০) স্ত্রী। এ দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ে। তার মধ্যে ছেলে মালেয়শিয়া প্রবাসী আর মেয়ে ঢাকায় থাকেন।
পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, মঙ্গলবার ইফতারি করার পরে মুক্তা বেগম ও তার স্বামী আব্দুল মান্নান গাজী একসঙ্গে নামাজ পড়ে বিশ্রাম নেন। পরে এশার আজান দিলে রাত ৮টার দিকে আব্দুল মান্নান গাজী তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদে চলে যান।
রাত ৯ টার দিকে ফিরে এসে তিনি দরজা বাহির থেকে লক করা দেখতে পান। তখন দরজা খুলেই দেখেন তার স্ত্রীর জবাই করা রক্তাক্ত লাশ।
তার চিৎকারে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করা হয়।
পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। রাতে সুরতহাল শেষে বুধবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আবদুল মান্নান গাজী বলেন, “আমি নামাজে গেছিলাম। নামাজ পইড়া বাড়ি আইসা দেখি মুক্তা নাই। এমন করে মানুষ মানুষেরে মারে না। আমার এই ক্ষতি কে করল? কিসের জন্য করল?
“আমারে একা কইরা দিল। আমাকে নামাজের জন্য কে ডাকবো? আমারে সেহরি খাওনের জন্য কে ডাকবে? যারা যারা মুক্তারে মারছে আমি তাগো বিচার চাই, ওগো ফাঁসি চাই।”
ওসি পারভেজ আহমেদ সেলিম বলেন, মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফরিদপুর থেকে আসা পুলিশের সিআইডি ফরেনসিক টিম।
এছাড়া এ ঘটনায় মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।