Published : 12 Sep 2024, 06:48 PM
নোয়াখালীতে রাতভর বৃষ্টির কারণে বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলা শহরসহ আট উপজেলায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
জেলা আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “নোয়াখালীতে বুধবার রাত ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।”
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলা বন্যার কারণে এখনো জেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িও ফিরেছেন। এই পরিস্থিতিতে রাতভর ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
যারা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তাদেরকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ তাড়া দিচ্ছেন। তবে বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থা এখনো হয়নি বলে জানিয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকায় লোকজন।
সদর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল বাসেত বলেন, “২৩ দিন থেকে বাড়িঘরে পানি। টয়লেটগুলো ডুবে আছে। রান্নাঘরে চুল জ্বালানোর মতো অবস্থা নেই। এই পরিস্থিতিতে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে কোথায় থাকবে, কী খাবে এসব নিয়ে ভীষণ চিন্তিত।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নোয়াখালীর আট উপজেলা, আট পৌরসভা ও ৮৭ ইউনিয়নে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩০০ জন। ৪৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে ৫৯ হাজার ৭৮৭ মানুষ।
এদিকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো বানভাসি মানুষ রয়েছে। ফলে পাঠদান শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, “বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো পানি। মানুষের বাড়িঘরে পানি। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়া লোকজনকে জোর করে বের করে দেওয়াও অমানবিক হবে।”