Published : 23 Sep 2024, 04:47 PM
রাঙামাটির বৌদ্ধ বিহারে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন ভিক্ষুরা।
সোমবার সকালে শহরের বনরূপা এলাকার মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানান পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি শ্রদ্ধালঙ্কার মহাথের বলেন, “২০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ কিছু লোক বিহারে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে বিহারের পবিত্র বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুর করে এবং বিহারের থাকা দানবাক্স নিয়ে যায়।
“বাংলাদেশের মতো স্বাধীন, সার্বভৌম ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে অন্য ধর্মের প্রতি এ ধরনের চরম অবমাননার ঘটনায় পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।”
শ্রদ্ধালঙ্কার মহাথের বলেন, “এই ধরনের ঘটনা স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনে বড় অন্তরায়। আমরা এ সমস্ত সাম্প্রদায়িক মদদপুষ্ট দুর্বৃত্ত ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভদন্ত পূণ্য জ্যোতি মহাথের, শীলানন্দ মাহাথের, মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দেওয়ান, সহসভাপতি উদয়ন চাকমা।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এটা প্রথম সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনা নয়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও নানাভাবে হামলাসহ বারবার এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনা ঘটছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ বিচারহীনতা ও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ। এ যাবৎ পাহাড়ে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনার কোনোটারই সুষ্ঠু বিচার হয়েছে এমন নজির নেই।
বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণ, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, ধর্ম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন এবং পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ১৯৯৭ এর আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতন্ত্রায়ন নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।