গাজীপুরে গুলি ছুড়ে ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা

গাজীপুরে সোনালী ব্যাংকের একটি উপশাখার দুই কর্মকর্তাসহ চারজনকে কুপিয়ে ব্যাংকের টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

রোববার রাতে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানায় সোনালী ব্যাংক গাজীপুর কোর্ট বিল্ডিং শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক গাজী শহীদুজ্জামান মামলাটি করেন বলে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাহেদুল ইসলাম বলেন।

মামলায় আট থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

তবে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

জেলার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সোনালী ব্যাংকের উপশাখায় রোববার সারাদিন লেনদেন শেষে বিকালে অটোরিকশায় করে দুই আনসার ও দুই নারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত ৭ লাখ ৮ হাজার ৩৭৪ টাকা টাকা নিয়ে কোর্ট বিল্ডিং শাখায় ফিরছিলেন।

বিকাল পাঁচটার দিকে তারা রথখোলা এলাকায় পৌঁছলে ছয়টি মোটরসাইকেলে করে ১২ যুবক এসে তাদের গতি রোধ করেন। প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র ছিল।

তারা অটোরিকশা থামিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও চারজনকে কুপিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যান।

আশপাশের লোকজন আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

আহতরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উপ শাখার ইনচার্জ আতিকা পারভীন সুরভী (৩৯) ও ক্যাশ অফিসার ফারজানা নাজনীন সিমু (২৭) এবং আনসার সদস্য আল আমিন (৩০) ও রাজু মিয়া (৪০)। তারা হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক মো. আইনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে চারজনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাদের সবার চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের হাতে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তবে চারজনই আশঙ্কামুক্ত।

সোনালী ব্যাংকের উপমহা ব্যবস্থাপক মো. শফিজ উদ্দিন বলেন, “উপ শাখাটি খোলার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং আমরা পরিদর্শন শেষে খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাহেদুল ইসলাম বলেন, “এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

আরও পড়ুন:

ফাঁকা গুলি ছুড়ে, দুই কর্মকর্তাকে কুপিয়ে ব্যাংকের টাকা ছিনতাই