Published : 22 Feb 2018, 11:43 AM
উপজেলার হাটপুকুরিয়া ইউনিয়নের রমাপুর গ্রামে এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ মেয়েটির পরিবারের। তাছাড়া মামলা করায় তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালেরর আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনোয়ারুল আজিম বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল বোর্ড মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে।
তবে ওই প্রতিবেদনে কী রয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতীকী ছবি
সাহাপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের ওই কিশোরীর মা বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি মেয়ে রমাপুর গ্রামে মামা বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতে নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান শরীফসহ ছয় যুবক পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর বাড়ির পাশে ফেলে যায়।
তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনা চাটখিল থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি মজিবুর রহমান শরীফের নাম বাদ দিয়ে মামলা নেয় পুলিশ।
মামলা করায় মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িতে এসে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং হত্যার হুমকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে ওই কিশোরীর মা।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর ৩ নম্বর আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এ কে এম রৌশন জাহান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় ওই কিশোরীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
“এরপর মামলার তদন্তে নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মজিবুর রহমান শরীফসহ অপর দুই জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের বাড়ি নোয়াখলা ইউনিয়নের ইসলামিয়া বাজার এলাকায়। তদন্তের স্বার্থে অপর দুইজনের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
“তবে এই তিনজনই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। সময় মতো তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
আসামির নাম থেকে শরীফকে বাদ দেওয়ার কথা অস্বীকার করে চাটখিল থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার বলেন, বাদী শরীফের নাম দেয়ই নাই; বাদ দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। ১০ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও চারজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেছেন।
বাদীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ বোমা বিস্ফোরণের কোনো আলামত পায়নি। আর হুমকির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এ ব্যাপারে চাটখিল উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক চাটখিল পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ উল্লাহ পাঠোয়ারী বলেন, যুবলীগ নামধারী একটি পক্ষ সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যে এই ধরনের অপপ্রচার চালাতে পারে।
“তবে কারো বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা পেলে তার দায়িত্ব সংগঠন নেবে না।”