Published : 03 Jun 2025, 04:40 PM
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামের মরদেহ তার দাদা নুরুজ্জামানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের চরশাহী গ্রামের গোপাল বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত ৩০ বছর বয়সী সাইফুল লক্ষ্মীপুরের চরশাহী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও রহিমা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে। তিনি নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিন বছর একই জেলায় বিভিন্ন থানায় তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদ মাঠে সাইফুলের প্রথম জানাজা হয়। সহকর্মীদের চোখের জল ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কর্মস্থল থেকে শেষ বিদায় নেন তিনি। পরে তার মরদেহ ফ্রিজিং ভ্যানে করে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়।
৩১ মে দুপুরে ভাসানচর থেকে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে ডুবচরে আটকে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ফেটে গিয়ে উল্টে যায়। ট্রলারে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে মাঝি ও যাত্রীসহ ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে গিয়াস উদ্দিন এবং রামগতি থেকে রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২ জুন বিকালে সাইফুলের মরদেহ চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে ভেসে উঠে। ওই ঘটনায় এক রোহিঙ্গা শিশু এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
সাইফুলের বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, “পৃথিবীর বুকে নিষ্ঠুরতম ভারি বস্তু হচ্ছে পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ। সেই লাশ আমাকে বহন করতে হয়েছে। সাইফুলকে হারিয়ে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে।
“আর কখনও তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। সাইফুল কখনও বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করবে না। তাকে আমি বাবার কবরের পাশে দাফন করেছি।”
এসপি আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, “সাইফুল কর্তব্যপরায়ণ, সৎ ও সাহসী ছিলেন। আমরা যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহকর্মীকে হারিয়েছি। তার পরিবারের পাশে আমরা সবসময় থাকবো।”
হাতিয়ায় ট্রলারডুবি: পুলিশ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ রোহিঙ্গা শিশু