Published : 19 Sep 2021, 05:54 PM
নিজ বাড়িতে রোববার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য গ্রিভস। নিজেদের ওয়েবসাইটে ক্লাব কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর জানায় টটেনহ্যাম।
“গ্রেট জিমি গ্রিভসের মৃত্যুর খবরে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি শুধু টটেনহ্যাম হটস্পারের রেকর্ড গোলস্কোরারই নন, দেশের (ইংল্যান্ডের) ইতিহাসের দারুণ মার্কসম্যানও। জিমি আজ (রোববার) সকালে ৮১ বছর বয়সে তার বাড়িতে মারা যান।”
ক্যারিয়ার জুড়ে গড়েছেন অসামান্য সব কীর্তি।
চার বছরের চেলসি ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুমে (১৯৬০-৬১) ফার্স্ট ডিভিশনে ৪১ গোল করেছিলেন তিনি, এক মৌসুমে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটির হয়ে যা এখনও রেকর্ড। ১৯৬১ সালে তিনি যোগ দেন এসি মিলানে। সেখানে ১৪ ম্যাচে ৯ গোল করলেও ইতালিতে ঠিক মানিয়ে নিতে না পেরে ওই বছরই টটেনহ্যামে যোগ দেন তিনি।
এই ক্লাবের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই ব্ল্যাকপুলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। নর্থ লন্ডনের ক্লাবটির হয়ে ১৯৬১ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সময়ে ৩৭৯ ম্যাচ খেলে করেন ক্লাব রেকর্ড ২৬৬ গোল। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে তার করা ৩৭ গোল এখনও টটেনহ্যামের ইতিহাসে লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ।
টটেনহ্যামে যোগ দেওয়ার কয়েক মাস পরই ১৯৬২ সালে এফ কাপ জিতে সিনিয়র ফুটবলে প্রথম শিরোপার স্বাদ পান গ্রিভস। ওয়েম্বলিতে বার্নলির বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে সেই জয়ে দলের প্রথম গোল করেন তিনি। পরের মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপের ফাইনালে করেন জোড়া গোল; আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৫-১ ব্যবধানে উড়িয়ে প্রথম ব্রিটিশ ক্লাব হিসেবে ইউরোপিয়ান ট্রফি জেতে টটেনহ্যাম। এই ক্লাবের হয়েই পরে আরেকটি এফএ কাপ জেতেন তিনি।
ক্যারিয়ারে মোট ৩৬৬ ক্লাব গোল করে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড ছিল তারই। ২০১৬-১৭ মৌসুমে তাকে ছাড়িয়ে যান ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ৫৭ ম্যাচে ৪৪ গোল করা গ্রিভস দেশটির ইতিহাসের চতুর্থ সেরা গোলদাতা। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হলেও ফাইনালের দলে ছিলেন না তিনি।
তার জায়গায় জার্মানির বিপক্ষে সেই ম্যাচে খেলা এবং হ্যাটট্রিক করা স্যার জিওফ হার্স্ট একবার বলেছিলেন, এককথায় ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা ফরোয়ার্ড গ্রিভস।
“গ্রেট খেলোয়াড় অনেকেই আছে, কিন্তু ফরোয়ার্ডদের বিচার করা হয় গোলের মানদন্ডে। এই জায়গায় তাকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।”