Published : 18 Sep 2022, 07:52 PM
আছে দুই দিন পর পর ম্যাচ খেলার ধকল। সঙ্গে প্রত্যাশার চাপও কম নয়। তবে এসবের কোনো কিছুকেই বড় বাধা হিসেবে দেখছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে ভাসতে চান স্বপ্ন পূরণের আনন্দে। দীর্ঘদিন মেয়েদের দলটিকে স্নেহে-যত্নে-শাসনে আগলে রাখা কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকেও কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার তাড়না অনুভব করছেন তিনি।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সোয়া ৫টায় মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দুই দলই প্রথম শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে।
২০১০ সাল থেকে মেয়েদের ফুটবলে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন ছোটন। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে তার দল সাফল্য এনে দিতে পারলেও সাফের শিরোপা এনে দিতে পারেনি এখনও।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ঝলমলে পারফরম্যান্স করা মেয়েদের ‘স্যালুট’ দিয়েছেন ছোটন। সংবাদ সম্মেলনে সাবিনার কাছে প্রশ্ন ছিল-শিরোপা জিতে কোচকে স্যালুট দিতে চান কিনা। স্রেফ স্যালটু যথেষ্ট নয় বলে জানালেন অধিনায়ক।
“কোচকে যদি শিরোপা জিতে মাঠে স্যালুটও দেই, সেটাও কম হয়ে যাবে। এর চেয়ে আরও বেশি কিছু তার প্রাপ্য। আমরা সবসময় উনার প্রতি খুশি, আমরা ভাগ্যবান যে উনার মতো একজন কোচ পেয়েছি। তিনি দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে আছেন। আমরা তাকে সম্মান প্রদর্শন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”
সূচি অনুযায়ী দুই দিন পর পর ম্যাচ খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। টানা খেলার ক্লান্তি দলকে ফাইনালে পেয়ে বসবে না বলে বিশ্বাস সাবিনার।
“একের পর এক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা খেলোয়াড়দের আছে। অবশ্যই টানা খেলে যাওয়ায় শরীরের উপর একটা চাপ তো পড়েই। কিন্তু যেহেতু আমরা দুই দিন রিকভারি সেশন পেয়েছি, আমার মনে হয় সেটা কাজে লাগিয়ে আমরা পুরো উদ্যোমে মাঠে নামতে পারব।”
“দলকে একটা কথাই বলেছি, যেহেতু ফাইনাল, সেহেতু যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমার বিশ্বাস মেয়েরা গেম থেকে হারাবে না। তারা এখন পরিণত। মারিয়া-মনিকাদের বয়স এখন আর ১৪-১৫ বছর নেই। তারা এখন বড় হয়েছে এবং বুঝতে পারে, গেম ধরতে পারে। আমার মনে হয় কোনো চাপ মেয়েদের ভেতরে থাকবে না, তারা স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবে।”