Published : 10 Dec 2022, 01:34 PM
ইলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহনের পর প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে যাওয়া সর্বশেষ বড় তারকা এলটন জন।
কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই প্ল্যাটফর্মে ভুল তথ্য সংশ্লিষ্ট নীতিমালা বদলানোকে এই সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী করেন আগামী বছরের গ্লাস্টনবারি ফেস্টিভালের মূল পারফর্মার হিসেবে বিবেচিত এই ব্রিটিশ গায়ক।
গত মাস থেকে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার।
স্যার এলটনের এই ঘোষণা সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মাস্ক।
“সারাজীবন মানুষকে একত্রিত করার উদ্দেশ্যে সঙ্গীত ব্যবহারের চেষ্টা করেছি আমি। তাই, আমাদের পৃথিবীকে বিভক্ত করার উদ্দেশ্যে যেভাবে ভুল তথ্য ব্যবহৃত হচ্ছে, তা আমাকে ব্যথিত করে।” --নিজের সবশেষ টুইটে লিখেন ‘রকেট ম্যান’, ‘ক্যান্ডল ইন দ্য উইন্ড’ ও ‘স্যাক্রিফাইস’ খ্যাত এই গায়ক।
“তাদের নীতিমালায় সাম্প্রতিক পরিবর্তন, কোনো ধরনের যাচাই ছাড়াই ভুল তথ্য ছড়ানোর সুযোগ দেবে। এই কারণে টুইটার আর ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।”
টুইটার কেনার পর নিজেকে কোম্পানির ‘চিফ টুইট’ হিসেবে দাবি করা মাস্ক এই ব্রিটিশ গায়কের টুইটের জবাবে লিখেন, “আমি আপনার সঙ্গীত ভালবাসি। আশা করি, আপনি ফিরে আসবেন। এতে কি বিশেষ কোনো ভুল তথ্য আছে, যা নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন?”
All my life I’ve tried to use music to bring people together. Yet it saddens me to see how misinformation is now being used to divide our world.
— Elton John (@eltonofficial) December 9, 2022
I’ve decided to no longer use Twitter, given their recent change in policy which will allow misinformation to flourish unchecked.
অক্টোবরে চার হাজার চারশ কোটি ডলারে মাস্ক টুইটার কেনার পর থেকেই, কোভিড সংশ্লিষ্ট নীতিমালা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনা ও অর্থের বিনিময়ে ‘ব্লু’ ব্যাজ প্রদানের সিদ্ধান্তেও সমালোচনার মুখে পড়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
এর ফলে বেশ কিছু জনপ্রিয় চেহারা প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে চলে যান। প্ল্যাটফর্মটির নতুন নেতৃত্বকে তারা এর মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
সামাজিক প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে যাওয়ার তালিকায় আছেন অভিনেতা জিম ক্যারি, হুপি গোল্ডবার্গ, সুপারমডেল জিজি হাদিদ ও হোয়াইট স্ট্রাইপস ব্যান্ডের ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট জ্যাক হোয়াইট।
হাদিদের টুইটার ছাড়ার ঘোষণার সময় তিনি মাস্কের অধীনে থাকা টুইটারকে আখ্যা দিয়েছেন ‘ঘৃণা ও ধর্মান্ধতার চারণভূমি’ হিসেবে।
টুইটারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, আগের করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট নীতিমালার বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেওয়া বন্ধ করেছে বুধবার ২৩ নভেম্বর থেকে।
এর আগে, এই বছরের সেপ্টেম্বরের আগ পর্যন্ত ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে টুইটার ১১ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছিল।
কোভিড সম্পর্কিত নীতিমালার অধীনে, কোভিড ছড়ানো বা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ‘ব্যপক ক্ষতি করার ঝুঁকি’ থাকা বিভিন্ন ‘ভুল বা বিভ্রান্তিকর’ কনটেন্ট পোস্ট করা অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধে পাঁচ ধাপের নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা চালু ছিল টুইটারে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেসব অ্যাকাউন্ট কেবল একবার বিভ্রান্তিকর তথ্য টুইট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না প্ল্যাটফর্মটি। তবে, ক্রমাগত এই ভুল করা বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে কয়েক ঘন্টা, দিন এমনকি অনির্দিষ্টকালের জন্যেও। তবে, চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞার আগে তাদের পাঁচবার সুযোগ দেয় সাইটটি যেটি ফাইভ স্ট্রাইকস রুল নামে পরিচিত ছিল।