Published : 07 Nov 2016, 05:59 PM
ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, মানুষের বর্জ্য থেকে 'বায়োক্রুড অয়েল' বানানোর একটি প্রক্রিয়া বানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি-এর গবেষকরা।
গবেষকরা জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন প্রায় ৩৪০০ কোটি গ্যালন মানব বর্জ্য সৃষ্টি হয়। এ থেকে প্রতি বছর তিন কোটি ব্যারেল পর্যন্ত তেল উৎপাদন সম্ভব বলে জানান তারা।
এ ক্ষেত্রে বর্জ্য নিয়ে এর উপর প্রতি বর্গইঞ্চি-তে তিন হাজার পাউন্ড চাপ প্রয়োগ করা হয়। আর পরিশোধন প্রক্রিয়ায় এতে ৬৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপ প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে বর্জ্যের উপাদানগুলো ভেঙ্গে বায়োক্রুড অয়েল আর জলীয় বাষ্প উৎপন্ন করে।
এ ক্ষেত্রে শুধু বায়োক্রুড অয়েল-ই একমাত্র দরকারি বস্তু নয়, তরল ধাপে এতে একটি প্রভাবক যোগ করে অন্যান্য জ্বালানি আর রাসায়নিক পণ্যও বানানো সম্ভব বলে জানা গবেষকরা।
এর সঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় ফসফরাস-এর মতো কিছু কঠিন উপাদানও সৃষ্টি হবে। এই ফসফরাস সার উৎপাদনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি-এর অধীন প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি-এর বিজ্ঞানীরা জানান, লাখ লাখ বছর ধরে স্বাভাবিক যে প্রক্রিয়ায় ক্রুড অয়েল বানানো হয়, এই ক্ষেত্রেই সে পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়েছে। তবে, এটি অনেক বেশি চাপ আর উচ্চ তাপমাত্রায় করা হয়।
এই পদ্ধতিতে উৎপন্ন বায়োক্রুড অয়েল প্রচলিত পরিশোধন কার্যক্রমেই বিশুদ্ধ করা যাবে বলে জানান গবেষকরা। ভবিষ্যতের ব্যবস্থায় এই প্রযুক্তিতে আরও কোনো গন্ধ আর কোনো অবশিষ্টাংশ ছাড়াই টেকসই কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
গবেষকদের হিসাব মতে, প্রতি বছর একজন মানুষের থেকে নিঃসৃত বর্জ্য থেকে দুই থেকে তিন গ্যালন বায়োক্রুড অয়েল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।