Published : 13 Oct 2023, 11:42 AM
ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হয় এমন পণ্যকে ডিসপোজেবল বলে। ভেপ থেকে শুরু করে খেলনা ও বৈদ্যুতিক তারের জট, এ সকল বস্তুই এমন ‘অদৃশ্য’ ই-বর্জ্যের তালিকায় রয়েছে। আর এর মাত্রা দিন দিন যে হারে বাড়ছে, তা শঙ্কাজনক।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর বৈশ্বিকভাবে যে পরিমাণ ভেপ ফেলে দেওয়া হয়, তার ওজন তিনটি ব্রুকলিন ব্রিজের সমান। সব মিলিয়ে ভেপ ও এই ধরনের ‘অদৃশ্য’ সামগ্রীর সর্বমোট আকার বছরে প্রায় নয়শ কোটি কেজি, যা বর্জ্য বাহক পাঁচ লাখ ট্রাকের সমান। আর ট্রাকগুলোকে সারিবদ্ধ করে সাজালে তা কেনিয়ার নাইরোবি থেকে ইতালির রোম পর্যন্ত গিয়ে ঠেকবে।
এমন সামগ্রীকে বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়ার কারণে তৈরি সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে, এগুলোতে প্রায়ই সীসা বা পারদের মতো বিপজ্জনক পদার্থ থাকে, যা মাটি ও পানিকে দূষিত করতে পারে। আর এইসব ডিভাইস বাড়িতে রাখাটাও নিরাপদ নয়। তবে, এগুলো রিসাইকল করে স্বর্ণ বা এই ধরনের দামী উপাদান আহরণ করা যেতে পারে। আর এতে ই-বর্জ্য এমনকি মাইনিংয়ের মাধ্যমে খনিজ পদার্থ খোঁজার প্রয়োজনীয়তাও খানিকটা কমতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভার্জ।
বাতিল করা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটার বেশ কয়েক দশক ধরে সমস্যা তৈরি করলেও এমন নতুন ধরনের বিশ্লেষণ প্রায়ই উপেক্ষিত থেকে যায়। এর ফলে, গোটা বিশ্বেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
বিশ্বের সর্বত্রই ডিসপোজেবল ভেপ ছড়িয়ে আছে। পাশাপাশি, নতুন মডেলের ডিভাইস প্রকাশ পেলে তাতেও নতুন চার্জারের প্রয়োজন পড়ে। আর এগুলোতে সংযোগ ঘটানোর কাজ করে ‘ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি)’।
“গ্রাহকরা অনেক সময়ই বুঝতে পারেন না যে, কিছু কিছু পণ্যে ইলেকট্রনিক সার্কিট থাকে। আর সেগুলো সঠিক জায়গায় না ফেললে বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।” --এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন অলাভজনক সংস্থা ‘ওয়েস্ট ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইকুইপমেন্ট (ডব্লিউইইই)’ ফোরামের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক ম্যাগডালেনা চ্যারিটানোভিজ।
ডব্লিউইইই ফোরামের তথ্য অনুসারে, কেবল ২০১৯ সালেই ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে প্রায় সাড়ে নয়শ কোটি ডলারের উপাদান পুনরুদ্ধার হয়েছে, যেখানে প্রাথমিক উপাদান ছিল লোহা, কপার ও স্বর্ণ।
গত বছর যে পরিমাণ কপারের তার বর্জ্য হিসেবে ফেলা হয়েছে, তা দিয়ে গোটা পৃথিবীকে ১০৭ বার পেঁচানো যাবে। আর এই দশকে নবায়নযোগ্য শক্তি, ইভি’সহ বিভিন্ন খাতে কপারের চাহিদা বাড়ছে।