Published : 11 Oct 2024, 10:55 PM
হারিকেন মিল্টন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মাঝ বরাবর দিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়ার একদিনেরও বেশি সময় পর শুক্রবার অঙ্গরাজ্যটির লাখ লাখ বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিলেন।
ঝড়ের মধ্যে ছিঁড়ে পড়া বৈদ্যুতিক লাইন ও ক্ষতিগ্রস্ত মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো মেরামত করেছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। আর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিল্টনের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া শহর ও নগরগুলোর জলাবদ্ধতা দূর করতে ও আবর্জনা পরিষ্কার করতে কাজ করছেন। তারা বৈদ্যুতিক করাত ব্যবহার করে রাস্তার পড়ে থাকা গাছ কেটে সরিয়ে নিচ্ছেন।
এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় যে অঙ্গরাজ্যগুলোতে হারিকেন হেলেন আঘাত হেনেছিল ফ্লোরিডা তার একটি।
শিক্ষানবিস ইলেকট্রেশিয়ান চেইজ পিয়ার্স (২৫) ও তার বান্ধবী তাদের সেইন্ট পিটার্সবার্গের বাড়ির উঠানে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের পর বিদ্যুৎ চলে যেতে দেখেছেন; তিনি বলেন, “প্রকৃত কী করতে পারে এটি আপনার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে।”
শুক্রবার মর্নিংস্টার ডিবিআরএসের বিশ্লেষক মার্কোস অ্যালভারেজ জানান, আটলান্টিক মহাসাগরের হারিকেনগুলোর রেকর্ডে তীব্রতার দিক থেকে পঞ্চম স্থানে থাকা মিল্টনের কারণে ইন্সুরেন্সের পেছনে তিন থেকে ছয় হাজার কোটি ডলার খরচ হতে পারে।
কিন্তু স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় হারিকেনটি আসার আগে এই কোম্পানিটির অনুমান ছিল, তীব্র এ ঝড়ের কারনে ইন্সুরেন্স বাবদ খরচ ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ফ্লোরিডাবাসীরা বলেছেন, তারা জোড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হলো।
মিল্টন ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে এলেও সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় ঘটিয়েছে পূর্ব উপকূল থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে।
অঙ্গরাজ্যটির আইন প্রয়োগকারী বিভাগের বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, এই হারিকেনের কারণে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সেইন্ট লুসি কাউন্টিতে কয়েকটি আগাম টনের্ডোতে বেশ কয়েকজন নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, সিয়েস্তা কি ও ফোর্ট মায়ার্স বিচের মাঝামাঝ এলাকা পাচ থেকে ১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল।
ওয়েবসাইট পাওয়ারআউটেজ ডট ইউএস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ফ্লোরিডার ২৪ লাখেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
আরও পড়ুন: