Published : 26 Feb 2025, 10:16 AM
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে একটি শহরে ও দক্ষিণাঞ্চলীয় দারা প্রদেশে হামলা চালিয়েছে, জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ও সিরিয়া টেলিভিশন।
সিরিয়ার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও সিরিয়া টেলিভিশন জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো মঙ্গলবার রাতে দামেস্ক থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে কিসভে শহরে হামলা চালায়।
ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে রয়টার্সকে জানান, সামরিক একটি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে। কিন্তু বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।
সিরিয়া টেলিভিশন ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দেরা প্রদেশের একটি শহরেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, ইসরায়েলের এসব হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
এসব লক্ষ্যস্থলের মধ্যে সদরদপ্তরও ছিল আর সেগুলোতে অস্ত্র ছিল বলে দাবি করেছে তারা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলকে শান্ত করতে র্নিধারণ করে নেওয়া নতুন নীতির অংশ হিসেবে বিমান বাহিনী জোরালো হামলা চালিয়েছে। বার্তা পরিষ্কার: সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলকে দক্ষিণ লেবানন হয়ে ওঠা অনুমোদন করবো না আমরা।”
তিনি আরও বলেন, “সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বা দেশটির সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো যদি কোনোভাবে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে তাহলে আগুনের মধ্যে পড়বে।”
দামেস্কের বাসিন্দারা ও নগরীটিতে থাকা রয়টার্সের সংবাদাতারা জানিয়েছেন, তারা খুব নিচু দিয়ে অনেকগুলো বিমান উড়ে যাওয়ার শব্দ ও ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
সিরিয়া তাদের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর অনুপ্রবেশের নিন্দা ও ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর এসব হামলা চালানো হয়।
আল কায়েদার সাবেক শাখা হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী বাহিনী সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণে থাকা অসামরিক এলাকায় তাদের বাহিনী পাঠায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার বলেছেন, ইসরায়েল সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এইচটিএসের বা দেশটির নতুন শাসকদের অনুমোদিত অন্য কোনো বাহিনীর উপস্থিতি সহ্য করবে না। ওই অঞ্চলটিতে কোনো সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি থাকতে পারবে না বলে দাবি করেছেন তিনি।