Published : 02 Jun 2025, 10:51 AM
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সল বিন ফারহান আল সৌদ বলেছেন, আরব মন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলকে দখলকৃত পশ্চিমতীরে প্রবেশ করার অনুমতি না দিয়ে ইসরায়েল সরকার তাদের ‘চরমপন্থা ও শান্তি প্রত্যাখ্যান’ প্রদর্শন করেছে।
রোববার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আরব মন্ত্রীদের এ বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। এ উদ্দেশে জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাসহ ঊর্ধ্বতন আরব কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদলের রামাল্লায় যাওয়ার কথা ছিল। জর্ডান থেকে তাদের পশ্চিম তীরে ঢুকতে ইসরায়েলের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের বাধায় আরব মন্ত্রীরা রামাল্লা সফর স্থগিত করতে বাধ্য হন।
এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাসহ ঊর্ধ্বতন আরব কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিদলটি জর্ডানের রাজধানী আম্মানে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে। এই বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বিবৃতি দেন।
প্রিন্স ফয়সল বলেন, “পশ্চিম তীরে কমিটির সফরে ইসরায়েলের অস্বীকৃতি তাদের চরমপন্থা এবং শান্তিপূর্ণ পথের জন্য যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করাকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ ও নিশ্চিত করল। এটি এই ঔদ্ধত্য মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার ইচ্ছাকে শক্তিশালী করেছে।”
শনিবার ইসরায়েল জানায়, রোববার রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরব মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের যে বৈঠকের পরিকল্পনা আছে তা করার অনুমতি দেবে না তারা।
রয়টার্স লিখেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সলের পশ্চিম তীর সফর সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে কোনো শীর্ষ সৌদি কর্মকর্তার এ ধরনের প্রথম সফর হতো।
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওই মন্ত্রীরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা প্রচারের জন্য একটি ‘উসকানিমূলক বৈঠকে’ অংশ নিতে চেয়েছিলেন।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, “ইসরায়েল আরব-ইসরায়েলি মীমাংসার ন্যায়সঙ্গত ও ব্যাপকতর যে কোনো সম্ভাবনাকে কীভাবে হত্যা করছে সফর আটকে দেওয়া তার আর একটি উদাহরণ।”
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৭ থেকে ২০ জুন নিউ ইয়র্কে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ সভাপতিত্বে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে, তার আগে রোববার রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আরব মন্ত্রীদের এ বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি জানিয়েছেন, নিউ ইয়র্কের ওই সম্মেলন গাজায় অস্ত্রবিরতি হওয়ার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য পুনর্গঠন পরিকল্পনা এবং তাদের উচ্ছেদের যেকোনো ইসরায়েলি পরিকল্পনা ব্যর্থ করার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।